।। জেলা প্রতিনিধি ।।
কুড়িগ্রামে ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর কবলে ব্রহ্মপুত্র নদের মাঝে আটকে পড়া ৮৮ জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার(২৫ অক্টোবর) সকালে সিত্রাং এর কবলে পড়া লোকজনের সাথে দেখা করে তাদের খোঁজ খবর নিয়েছেন পুলিশ সুপার আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম।
জানা গেছে, সোমবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে একটি যাত্রীবাহী নৌকা কুড়িগ্রামের রৌমারী ঘাট থেকে চিলমারীর রমনাঘাটের উদ্দেশ্যে ২ জন মাঝিসহ ৭৮ জন যাত্রী নিয়ে রওনা দেয়। পথিমধ্যে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় প্রচন্ড ঝড় সিত্রাং এর কবলে পড়ে নৌকার মাঝির অজান্তে ব্রহ্মপুত্র নদের মাঝখানে ডুবোচড়ে যাত্রীসহ নৌকাটি আটকে যায়।
এসময় নৌকার একজন যাত্রী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে তাদেরকে বাচাঁনোর আকুতি জানায়। ৯৯৯ এর মাধ্যমে চিলমারী মডেল থানা সংবাদ পাওয়া মাত্রই তাৎক্ষণিকভাবে উলিপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম সহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ফায়ার সার্ভিস ও রমনা ঘাটের স্থানীয় লোকজনের সহযোগীতায় রাত ৯টার দিকে নৌকাসহ সকল যাত্রীদের কোন প্রকার ক্ষয়-ক্ষতি ব্যতীত উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ভোরে নৌকাসহ সকল যাত্রীদের উদ্ধার করে রমনা ঘাটে ফিরে আসে চিলমারী থানা পুলিশ।
অপরদিকে একই সময় কুড়িগ্রামের ডাটিয়ারচর ঘাট থেকে চিলমারীর রমনা ঘাটের উদেশ্যে ১ টি নৌকা রওনা করলে ২ জন মাঝি ও ৬ জন যাত্রী পথিমধ্যে ঝড়ের কবলে পড়ে। মাঝির অজান্তেই নৌকাটি ব্রহ্মপুত্র নদের মাঝে চরে আটকা পরলে একজন যাত্রী চিলমারী থানা পুলিশকে সংবাদ দেয়, বিষয়টি তাৎক্ষণিক ভাবে চিলমারী থানা পুলিশ ঢুষমারা থানা পুলিশ কে অবগত করলে ঢুষমারা থানা পুলিশ স্থানীয় মেম্বার ও লোকজনের সহোযোগিতায় যাত্রীদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়।
পুলিশ সুপার আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম জানান, ঝড় সিত্রাং এর কবলে ব্রহ্মপুত্র নদে আটকে পড়া সকলকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নেয়া হয়। যেকোন দুর্যোগ মোকাবেলাসহ জনগনের পাশে আছে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ।
//নিউজ/কুড়িগ্রাম//জাহিদ/অক্টোবর/২৫/২২