।। নিউজ ডেস্ক ।।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন বা ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিপরিপন্থি কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট বা আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে এমন কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও ফেসবুকে দেওয়া কিংবা এগুলোতে কমেন্ট, লাইক, শেয়ার করতে পারবেন না শিক্ষকরা। একই সঙ্গে সরকার বা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় এমন কোনো পোস্টও করা যাবে না।
রোববার মাউশির এক ‘জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে’ বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কিছু কর্মকর্তার মতোই মাধ্যমিক পর্যায়ের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কিছু সদস্যকেও এসব কাজ করতে দেখা যাচ্ছে। তাঁরা এসব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত না থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার–সংক্রান্ত নির্দেশিকার’ তথ্য উল্লেখ করে জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাউশির অধীন মাধ্যমিক পর্যায়ের কিছু শিক্ষক-কর্মচারী ফেসবুকে তাদের ব্যক্তিগত ওয়ালে ও বিভিন্ন গ্রুপে অশোভন, অনৈতিক, শিষ্টাচারবহির্ভূত ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। এতে মাউশি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, সরকারি কর্মচারী আইন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলশিক্ষকদের চাকরির শর্ত বিধিমালা এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রকাশিত সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারসংক্রান্ত নির্দেশিকার পরিপন্থী।
এ নির্দেশনা মাধ্যমিক পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধানরা নিয়মিত মনিটরিং করবেন। কোনো শিক্ষক-কর্মচারী বা কোনো ব্যক্তি কারও কন্টেন্ট, পোস্টে সংক্ষুব্ধ হলে ওই কন্টেন্ট, পোস্ট আপলোডকারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রমাণসহ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর বরাবর আবেদন করবেন।