।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
চিলমারীতে দ্বিতীয় শ্রেণি পড়ুয়া সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে আব্দুর রাজ্জাক (৪৮) নামে এক রিকশা চালককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। বুধবার (১৯ অক্টোবর) সকালে উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের খেরুয়ারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ওই দিন সন্ধ্যায় অভিযুক্ত রাজ্জাককে আটক করে থানায় নেয়।
অভিযুক্ত রাজ্জাক খেরুয়ারচর গ্রামের মৃত শুক্কুরের ছেলে। রাজ্জাক বিবাহিত এবং তার পরিবারে তিন মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। সে ঢাকায় রিকশা চালায় বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী শিশুর মা জানান, বুধবার সকালে তিনি মেয়েকে ভাত উঠাতে বলে গরুর জন্য ঘাস আনতে যান। এই সুযোগে অভিযুক্ত রাজ্জাক তার বাড়িতে গিয়ে শিশুটির মুখ চেপে ধরে তাকে ধর্ষণ করে। এসময় প্রতিবেশি এক শিশু এ ঘটনা দেখে ফেলে। পরে রাজ্জাক দ্রুত পালিয়ে যায়। প্রতিবেশি শিশুটি এঘটনা সবাইকে বললে ভুক্তভোগী শিশুর মা শিশুটিকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পান। ঘটনার পর অভিযুক্ত রাজ্জাক পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়রা নৌকা ঘাট থেকে তাকে আটক করে থানায় খবর দেয়।
ভুক্তভোগীর মা আরও বলেন, ‘রাজ্জাক গ্রামবাসী সম্পর্কে তার মেয়ের জ্যাঠা হন। তার বিরুদ্ধে গ্রামের একাধিক শিশুকে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। এমনকি তার বিরুদ্ধে নিজ পুত্রবধূদের যৌন হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। এজন্য তার ছেলের দুই স্ত্রী সংসার ছেড়ে চলে গেছে।’ অভিযুক্ত রাজ্জাকের কঠিন শাস্তি দাবি করেন ভুক্তভোগী এই মা।
তিনি বলেন, ‘ আমি থানায় মামলা করতে আসছি। আমার মেয়ের যে এতবড় ক্ষতি করেছে তার যেন কঠিন শাস্তি হয়। গ্রামের আর কোনও বাচ্চার যেন সে ক্ষতি করতে না পারে।’
নয়ারহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হাসান নিরাশ বলেন, ‘ শিশু ধর্ষণের অভিযোগের পর শিশুটির মা যাচাই করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় স্থানীয়রা রাজ্জাককে আটক করে। সে গ্রাম থেকে পালানোর চেষ্টা করছিল। পরে তাকে খেয়াঘাট থেকে আটক করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সকালে ঢুসমারা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। ঘটনা সংক্রান্তে থানার মামলা নং-০৪, তাং-২০/১০/২০২২ ইং, ধারা-২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধনী/২০০৩) আইন এর ৯(১) রুজু করা হয়েছে। আসামীকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
//নিউজ/চিলমারী//জাহিদ/অক্টোবর/২০/২২