।। নিউজ ডেস্ক ।।
ভূরুঙ্গামারীতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ছয় আসামীর জামিন না মঞ্জুর করেছে বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন আলি। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) কুড়িগ্রাম চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ধার্য তারিখে আসামীদের আদালতে হাজির করা হয়। আসামী পক্ষে জামিন আবেদন করা হলে বিচারক তা না মঞ্জুর করে আবারো জেলহাজতে প্রেরণের আদেশদেন। আসামীরা হলেন-প্রশ্নপত্র ফাঁসের মূল হোতা প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমান, ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক আমিনুর রহমান রাসেল, ইসলাম শিক্ষা শিক্ষক মাওলানা জোবায়ের হোসেন, কৃষি বিজ্ঞানের শিক্ষক হামিদুর রহমান, বাংলা বিষয়ের শিক্ষক সোহেল আল মামুন এবং অফিস সহায়ক সুজন মিয়া। আসামীরা সবাই ভূরুঙ্গামারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অফিস স্টাফ।
ভূরুঙ্গামারী থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আজাহার আলী জানান, ইতিপূর্বে ৪ আসামী রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তথ্য যাচাই বাছাই চলছে। এছাড়া মামলার সার্বিক বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে। আর পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। চাঞ্চল্যকর প্রশ্ন ফাঁসের এ মামলাটি তদন্তাধীন থাকায় আসামীদের জামিন আবেদনের বিরোধীতা করা হয় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে। এজাহার নামীয় আসামী অফিস সহকারী আবু হানিফ পলাতক রয়েছে। এদের সবাইকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি।
উল্লেখ্য গত ২০ সেপ্টেম্বর প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা ১০/১৫ জনের নামে ভূরুঙ্গামারী থানায় মামলা করেন ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রের ট্যাগ কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আদম মালিক চৌধুরী। এ ঘটনায় গণিত, পদার্থ, রসায়ন ও কৃষি বিজ্ঞানের পরীক্ষা স্থগিত এবং উচ্চতর গণিত ও জীব বিজ্ঞানের প্রশ্নপত্র পরিবর্তন করে পরীক্ষা গ্রহনের সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা বোর্ড। নতুর প্রশ্নপত্র এবং নতুন রুটিনে পরীক্ষা নেয়া শরু করেছে দিনাজপুর বোর্ড।