।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে চরাঞ্চলের ৩৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ ৮৮টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। সেই সাথে সহকারী শিক্ষকের পদ শুন্য রয়েছে ১০৫টি। ১৪ টি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদ নিয়ে মামলা চলমান থাকায়, দীর্ঘ প্রায় এক যুগ ধরে পদ গুলো শুন্য রয়েছে। এতে ভেঙ্গে পড়েছে পাঠদান কার্যক্রম, ব্যাহত হচ্ছে প্রশাসনিক কাজকর্ম।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা গেছে, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের চরাঞ্চলসহ মোট ২৬৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে ৮৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শুন্য রয়েছে। এছাড়া ১৪টি প্রতিষ্ঠানে চলতি দায়িত্ব থাকা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে। সে গুলো হলো পূর্ব দৈই খাওয়ার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রামদাস ধনিরাম সরকরি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দ্বারিকা সরকরি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিন গুজিমারী সরকরি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিজয়রাম তবকপুর সরকরি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর আপুয়ার খাতা সরকরি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর নামাজের চর সরকরি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাতলামারী সরকরি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শেখপাড়া সরকরি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঢেকিয়ারাম মধ্যপাড়া সরকরি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খাওনার দরগাহ সরকরি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোড়াই দুর্গাপুর সরকরি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বগুলাকুড়া সরকরি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে বিদ্যালয়ে ২ থেকে ৩জন সহকারী শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন থেকে শুন্য রয়েছে। সহকারী শিক্ষকরাই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা দাপ্তরিক কাজ নিয়ে ব্যস্ত থকায় অন্য শিক্ষকদের পাঠদানে হিমশিম খেতে হয়।
উত্তর নামাজের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যারযের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নজরুর ইসলাম মোল্লা জানান, বিদ্যালয়ে শিক্ষকের পদ রয়েছে ৫টি। কর্মরত আছি ৩ জন। এরমধ্যে সহকারি শিক্ষক রওশন আরা বেগম মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন। ফলে দুই জন শিক্ষকের পক্ষে পাঠদান সম্ভব হচ্ছে না।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ নাদিরুজ্জামান জানান, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ায় এবং মামলার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
//নিউজ/উলিপুর//মালেক/অক্টোবর/০৯/২২