।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
চিলমারীতে ৫০বস্তা ইউরিয়া সার পাচারকালে পিকাপ ভ্যানসহ আটক করেছে স্থানীয় জনতা। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার জামতলা এলাকা থেকে পাশ্ববর্তী সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় পাচার করার সময় উপজেলার খরখরিয়া তেলিপাড়া এলাকাবাসী সারের বস্তা গুলো আটক করে উপজেলা কৃষি অফিসারকে অবহিত করেন। তবে অপরিচিত সার নিয়ে আসা ব্যাক্তি পালিয়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান।
স্থানীয়রা জানায়, ইউরিয়া সার বেশী দামে বিক্রির জন্য পাশ্ববর্তী সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় পাচার হয়ে যাচ্ছিল। সোমবার রাত ৯টার দিকে রমনা ইউনিয়নের খরখরিয়া তেলিপাড়া এলাকায় একটি গাড়িতে সার নদীর ঘাটে যাওয়ার পথে স্থানীয়রা সার ভর্তি একটি গাড়ি আটক করে। এসময় একজন ব্যাক্তি পালিয়ে যায়। গাড়ি চালক সার ক্রয়ের ম্যামো দেখাতে না পাড়ায় এবং ক্রেতার নাম প্রকাশ না করায় উপজেলা কৃষি অফিসার ও প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেন স্থানীয়রা। উপজেলা কৃষি অফিসার ঘটনা স্থলে পৌঁছালে আটক কৃত সারের মালিক বের না হওয়ায় এবং কেউ দাবি না করায় ফেলে রেখে যাওয়া সার গুলো স্থানীয়রা তাদের মাঝে বিলি করার দাবী করেন। পরে থানা পুলিশের সহায়তায় ৫০ বস্তা সার জব্দ করে চিলমারী থানায় নিয়ে আসা হয়।
স্থানীয় ছক্কু মিয়া, এরশাদুল হক, আব্দুস সালাম, মোকছেদ আলীসহ অনেকে জানান, বেশী দামে ইউরিয়া সার বিক্রির জন্য প্রতিদিন এই পথে নৌকা যোগে সার সুন্দরগঞ্জে চলে যায়। ১১শত টাকা দরের বস্তা ওই পারে ১৪/১৫শ টাকায় বিক্রি করে ডিলাররা।
আনোয়ার হোসেন, জিয়াউর রহমানসহ অনেকে জানান, জমি আবাদ করে আমরা জমিতে সার দিতে পাচ্ছি না, ডিলারদের ঘরে ইউরিয়া নিতে গেলে বলে সার নাই। কখনো কখনো নষ্ট সার নিতে হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কুমার প্রণয় বিষান দাস জানান, খবর পেয়ে রাতের আঁধারে পাচার হওয়ার সময় সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৫০ বস্তা ইউরিয়া সার আটক করে থানায় নেয়া হয়েছে। যেহেতু সারের মালিক নেই তাই সরকারী নিয়ম অনুযায়ী সার বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ সরকারী কোষাগারে জমা করা হবে।
চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো.আতিকুর রহমান জানান, পাচার হয়ে যাওয়া সার কৃষি অফিসার জব্দ করে পুলিশ হেফাজতে রেখেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.মাহবুবুর রহমান জানান, আটককৃত ইউরিয়া সার সরকারী নিয়ম মতাবেক বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ সরকারী কোষাগারে জমা দেয়া হবে।
//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/সেপ্টেম্বর/২১/২২