।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে সন্তান হত্যার দায়ে ঘাতক মা ফেরদৌসি বেগম (২৭) কে আটক করছেন থানা পুলিশ। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে নিজ বাড়ী থেকে আটক করা হয় তাঁকে। ফরহাদের পিতা বাদি হয়ে ঘাতক স্ত্রী ফেরদৌসির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (০৮ সেপ্টেম্বর) পুত্র ফরহাদ রাতে দেরি করে বাড়ি ফেরায় ঘাতক মা ফেরদৌসি বেগম অতিরিক্ত শাসন করতে গিয়ে পিটুনী দেয়। এতে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে ফরহাদের মৃত্যু হয়। তাঁর মা বিষয়টি ধামাচাপা দিতে লাশ গুম করার জন্য এবং হত্যার ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য লাশকে একই গ্রামের আক্কাস আলীর ধান ক্ষেতে রেখে আসে। কিন্তু অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উলিপুর সার্কেল মহিবুল ইসলামের নির্দেশনায় পুলিশ পরিদর্শক রহুল আমিন’র চৌকস তদন্তে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঘটনাটি উদঘাটন হয়।
এ বিষয়ে উলিপুর থানা অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ফরহাদ হত্যার মুলহোতা তার মাকে আটক করে সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে বাড়ির পাশের একটি ধান খেতে নিখোঁজ ফরহাদ হোসেন (১০) এর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশ কে খবর দেয়। নিহত ফরহাদ উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের পাতিলাপুর মিয়াপাড়া গ্রামের নূর আলমের ছেলে এবং খামার মাগুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো। খবর পেয়ে উলিপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন এবং মৃত ফরহাদ হোসেনের শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকায় মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় উলিপুর থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়।
//নিউজ/উলিপুর//মালেক/সেপ্টেম্বর/১২/২২