।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রামে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে এলপিজি গ্যাস বিক্রি বন্ধ রেখেছেন খুচরা বিক্রেতা ও ডিলাররা । অতিরিক্ত দামেও মিলছে না গ্যাস সিলিন্ডার। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন গ্রাহকরা। তবে জেলা প্রশাসন বলছে কোনোভাবে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে গ্যাস বিক্রির সুযোগ নেই। এটি লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গের শামিল। ডিলারদের এমন দাবি অনৈতিক এবং অযৌক্তিক।
কুড়িগ্রাম পৌর শহরে কয়েকদিন ধরে গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। চড়া দামেও গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। গ্যাস সরবরাহকারী ডিপোগুলোতে সিলিন্ডার থাকা সত্ত্বেও গ্যাস দিচ্ছে না। তারা গ্যাস না দেওয়ার সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ বলছেন না বলে জানিয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা।
গ্যাস সিলিন্ডার নিতে আসা শাহ আলম মিয়া বলেন, বিক্রি করতে অপারগতা জানান ডিলারের প্রতিনিধি। শহরের সব দোকান ঘুরেও সিলিন্ডার পাইনি। শেষে একটি দোকান থেকে ১২ কেজি ওজনের সিলিন্ডার দুই হাজার টাকা দামে কিনতে হয়েছে।
খুচরা গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রেতা লাবিব ট্রের্ডাসের আবু রাশেদ বলেন, ডিলাররা গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ না দেয়ায় বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিনিয়ত গ্রাহকরা এসে ফিরে যাচ্ছেন ।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুড়িগ্রাম শহরের একাধিক ডিলারের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, লোকসানের অজুহাত তুলে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে গ্যাস বিক্রির দাবিতে গত শুক্রবার থেকে এলপিজি’র ডিলাররা ধর্মঘট পালন করছেন।
শহরের ত্রিমোহনী বাজারে মেসার্স সাহা ফিলিং স্টেশনে ওমেরা গ্যাস ডিলারের প্রতিনিধি রুবেল জানান, সরকার নির্ধারিত মূল্যে সিলিন্ডার বিক্রি করলে তাদেরকে সিলিন্ডার প্রতি অন্তত ৬০ টাকা লোকসান গুনতে হয়। আবার বেশি দামে সিলিন্ডার বিক্রি করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা দিতে হয়। আমরা তো লোকসান দিতে পারবো না। পাশের জেলাগুলোতে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সিলিন্ডার বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা বিক্রি করলে জরিমানা দিতে হচ্ছে।
কুড়িগ্রামে যমুনা গ্যাসের ডিলার বদরুল আহসান মামুন বলেন, আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে মূল্য সমন্বয় করে গ্যাস বিক্রির অনুমতি চেয়েছি। কিন্তু তিনি মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের বাইরে সিদ্ধান্ত দিতে রাজি হননি। সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে আমাকে অন্তত ৬০ টাকা বেশি দিয়ে গ্যাস কিনতে হয়। সে হিসাবে আমাদেরকে প্রতি সিলিন্ডার কমপক্ষে ১৩৯০ টাকায় বিক্রি করতে হয়। আমরা তো লোকসান দিয়ে বিক্রি করতে পারবো না। এজন্য নতুন করে সিলিন্ডার তুলছি না ।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ডিলাররা আমার কাছে এসেছিলেন। আমি বলেছি সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রির অনুমতি দেওয়ার সুযোগ নেই। আমি প্রত্যাশা করবো, ডিলার নির্ধারিত মুল্যে গ্যাস বিক্রি করবেন। তারা সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়ার শর্তে লাইসেন্স নিয়েছেন।