।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ল্যাম্পি স্কীন ডিজিজে ১০ গরুর মৃত্যু ও আক্রান্ত হয়েছে অর্ধ শতাধিক। এ রোগ ছড়িয়ে পড়ায় গৃহস্থ ও খামারিরা তাদের গবাদি পশু নিয়ে মহা বিপাকে পড়েছে। তবুও মাঠ পর্যায়ে পাওয়া যাচ্ছে না উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসক বা সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাউকে। বাধ্য হয়ে খামারী ও কৃষকরা পল্লী চিকিৎসক, কবিরাজি ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার প্রায় সর্বত্র এ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। দলদলিয়া ইউনিয়নের কল্যাপাড়া, বজরা ইউনিয়নের খামার বজরা, দুর্গাপুর ইউনিয়নের কামাল খামার ও ধরনীবাড়ী ইউনিয়নের মাঝবিল গ্রামে এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ল্যাম্পি স্কীন ডিজিজে আক্রান্ত দলদলিয়া ইউনিয়নের কল্যাপাড়া ও ঝাকুয়া পাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ২৫টি ছোট ও মাঝারি খামারের গরু এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। ওই গ্রামের বাসিন্দা মাও. মহিউদ্দিনের জানান, তার দেড় লাখ টাকা মুল্যের একটি গাভী এ রোগে আক্রান্ত হয়ে সমস্ত শরীরে দুর্গন্ধ দেখা দেয়ায় সেটি জবাই করে মাটিতে পুতে ফেলা হয়েছে। তার অভিযোগ যোগাযোগ করা হলেও প্রাণিসম্পদ বিভাগের কেউ এ গ্রামে আসেনি।
গত ৭দিনে ওই গ্রামের মহিউদ্দিনের ১টি, বিধবা আয়শা বেগমের ১টি, দেলওয়ার হোসেনের ১টি ও খামার বজরা গ্রামের দুলাল মিয়ার ১টি, আবুল কালামের ১টি ও মাঝবিল গ্রামের দেলওয়ার মিয়ার ১টি সহ ১০ গরু মারা গেছে। এছাড়া কল্যাপাড়া ও ঝাকুয়া পাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ৩টি, আব্দুল বাতেনের ৩টি, আব্দুল গফ্ফারের ৩টি, আব্দুল ছামাদের ৪টি, জয়নাল আবেদীনের ৩টি, গোলজার হোসেনের ৩টি সহ প্রায় ৫০টি গরু ল্যাম্পি স্কীন রোগে আক্রান্ত হয়েছে। তাদের অনেকের অভিযোগ প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগাযোগ করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। তাই তারা পল্লী চিকিৎসক, কবিরাজ ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের দাড়স্থ হচ্ছেন। কিন্তু তাদের দেয়া ঔষধে তেমন কাজ হচ্ছে না।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানায়, এ রোগটি করোনার মত ভয়াবহ রোগ যা বাতাসে ছড়ায়। এ রোগ প্রায় ১৩ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় দেখা দিয়েছে। এটি আফ্রিকান রোগ। এ রোগ প্রতিরোধে সোডা ও প্যারাসিটামল ও বিকল্প হিসাবে টিকা দেয়ার কথা জানালে ও কোন খামারী বা কৃষক পর্যাায়ে কেউ টিকা পাননি বলে জানান।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ রেজওয়ানুল হক জানান, তিনি এ রোগ সম্পর্কে অবগত আছেন ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এটি করোনার মত রুপ পরিবর্তন করে। বৃষ্টি অথবা শীত পড়লে এ রোগ কমে যাবে।
//নিউজ/উলিপুর//মালেক/সেপ্টেম্বর/১২/২২