।। নিউজ ডেস্ক ।।
চলতি মৌসুমে কুড়িগ্রাম জেলায় সোনালি আঁশ পাটের দাম ভালো হলেও দুশ্চিন্তায় চাষীরা। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় খাল-বিলে স্বাভাবিকের তুলনায় পানি অনেক কম। তাই ভাল পানিতে পাটগাছ পচাতে না পারায় চাষিরা বিপাকে পড়েছেন। ফলে হাটে ভালো দাম পাচ্ছে না পাট চাষীরা।
বর্ষায় মৌসুমে পর্যাপ্ত পানি না হওয়ায় বাধ্য হয়ে একই পানিতে একাধিকবার পাট জাগ দিতে হচ্ছে। এসব কারণে পানির রঙ ভাল না হওয়ায় পাটের রঙও ভাল হয়নি। ফলে পাটের সঠিক দাম না পাওয়া নিয়ে চাষীদের মাঝে রয়েগেছে দুশ্চিন্তার ছাপ।
জানা গেছে, চলতি বছর হাটে প্রতি মণ ভালো পাটের দাম ৩ হাজার থেকে ৩৩শ’ টাকা। কিন্তু পাটের মান খারাপ হওয়ার কারণে প্রতি মণ পাট বিক্রি হচ্ছে ২৩শ’ থেকে ২৬শ’ টাকা মণ দরে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, কুড়িগ্রামের ৯টি উপজেলায় ১৯ হাজার হেক্টর জমিতে পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে আবাদ হয়েছে ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে।
নাগেশ্বরী উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের কৃষক আব্দুর রহিম মিয়া বলেন, বন্যা ও খড়ার কারণে পাটের আবাদ ভালো হয় নাই। একদিকে বন্যার কারণে পাট ডুবে গেছে, অন্য দিকে খড়ার কারণে পাটের গাছ মরে গেছে। ভাল পানিতে পাটগাছ পচাতে না পারায় পাটের রঙও ভালো হয়নি। ফলে দামও ভালো পাইনি। আমি প্রতি মণ পাট ২৪শ টাকা দরে বিক্রি করেছি। এই পাটেই গত বছর সাড়ে তিন হাজার টাকা মণ বিক্রি করছিলাম।
নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ বাজারের পাট ব্যবসায়ী মাসুদুর রহমান বলেন, এবার পাটের মান ভালো না। মান খারাপ হওয়ার কারণে চাহিদা অনেক কম। ভালো পাট কিনতেছি ৩ হাজার থেকে ৩৩শ’ টাকা মণ আর যেগুলোর রঙ খারাপ সেগুলো কিনতেছি প্রতি মণ ২৩শ’ থেকে ২৬শ’ টাকা।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষিবিদ মোঃ আজিজুল ইসলাম (ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক) জানান, এ বছর আবহাওয়ার প্রতিকূলতায় পাটের ফলন কিছুটা কম ছিল। কিছু এলাকায় চাষীরা ভালো পানিতে পাট জাগ দিতে না পারায় পাটের রঙও ভালো হয়নি। তবে এবারে পাটের দাম ভালো আছে কৃষকদের আংশিক ক্ষতিটা কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে জানান তিনি।