।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
ফুলবাড়ীতে আপত্তিকর অবস্থায় এক নারীর ঘরে আটক হয়েছেন দু’সন্তানের জনক ফুলবাড়ীর ঘোগারকুটি (বানিয়াটারি) সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নুরুজ্জামান খন্দকার (৪৫)। তিনি বড়ভিটা ঘোঘারকুটি গ্রামের আফতাব উদ্দিন খন্দকারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দক্ষিণ বালাবাড়ী গ্রামের মোঃ বকুল মিয়ার মেয়ে মোছাঃ জান্নাতী বেগমের (৩০) এর সঙ্গে ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ী ফকিরপাড়া জকুরটল গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে তাজুল ইসলামের সঙ্গে প্রায় ৭ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের পরপরেই শিক্ষক নুরুজ্জামানের সঙ্গে পরিচয় ঘটে জান্নাতীর। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নুরুজ্জামান পরকিয়ায় মেতে উঠেন। এরই মধ্যে তিনি প্রায়ই ওই নারীর বাড়ীতে যাওয়া আসায় তাদের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্কের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি এলাকার লোকের কাছে জানাজানি হয়ে গেলে তাকে বহুবার সতর্ক করা হলেও আবারও তিনি বুধবার (০৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ওই নারীসহ তার শোয়ার ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় এলাকার লোকজন আটক করে গনধোলাই দিয়েছেন। পরে ৯৯৯ এ ফোনের মাধ্যমে পুলিশ তাদের দু’জনকে আটক করে ফুলবাড়ী থানায় নিয়ে আসে। বর্তমানে তারা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। এ ঘটনার পূর্বে তারই এলাকার সম্পর্কিয় এক ভাতিজির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক তৈরি করে শিক্ষক নুরুজ্জামান। পরে মোটা অংকের টাকা জরিমানা দিয়ে ছাড়া পেয়েছিলেন তিনি।
নারীর স্বজন রবিউল জানান, আমার ভাগ্নির সাথে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ দিন থেকে মাষ্টারের অবৈধ সম্পর্ক। এখন আমরা মামলা করার জন্য থানায় এসেছি। মাষ্টারের উপযুক্ত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
ভুক্তভোগী নারী জান্নাতী জানান, মাষ্টার আমার ইজ্জত নষ্ট করেছেন। আমি এখন অসহায়। সুষ্টু বিচার দাবি করছি। না হলে আত্মহত্যা করবো।
উত্তর ঘোঘারকুটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছাবেদ আলী জানান, বৃহস্পতিবার (০৮ সেপ্টেম্বর) ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ে অনুপুস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে জানা গেছে তিনি নারী কেলেংকারীতে জড়িত। বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে অবগত করা হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার আশরাফুজ্জামান জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। পরবর্তীতে আইগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ ফজলুর রহমান (ওসি) জানান, শিক্ষক ও ভিকটিম থানায় রয়েছেন। পরবর্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
//নিউজ/ফুলবাড়ী/বেলাল/সেপ্টেম্বর/০৮/২২