।। নিউজ ডেস্ক ।।
মহান মুক্তিযুদ্ধে ৬নং সেক্টরের অধীন যুদ্ধকালিন সাবেক উর্ধ্বতন সামরিক মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা জানালো কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গ জাদুঘর। মঙ্গলবার (০৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় শহরের খেজুরতলায় অবস্থিত উত্তরবঙ্গ যাদুঘরের নির্মাণাধীন হলরুমে তাদেরকে বরণ করে নেয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক ৬নং সেক্টরের সাব সেক্টর কমান্ডার আমেরিকা প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট (অব:) ইকবাল রশীদ, সাবেক সেক্টর এডজুটেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব:) এ মতিন চৌধুরীসহ আরো ৬ বরেণ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা। অনুষ্ঠানের শুরুতে এই ৮বীর সেনানী উত্তরবঙ্গ যাদুঘর ঘুরে দেখেন। যাদুঘরে সংরক্ষিত মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহ্নত বিভিন্ন দলিল, যুদ্ধাস্ত্র ও উপকরণ দেখে অভিভূত হয়ে পরেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধারা। তারা ভূয়ষী প্রশংসা করেন উত্তরবঙ্গ যাদুঘরের এই অনন্য উদ্যোগের জন্য। পরে অনুষ্ঠানস্থলে ৬নং সেক্টরের সাবেক এই মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তাদের সংবর্ধণা প্রদান, উত্তরীয় পরিধান ও মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ স্মারক প্রদান করা হয়।
পরে নির্মানাধীন উত্তরবঙ্গ যাদুঘর হলরুমে অনুষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধে স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা সভায় কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন এমপি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব:) মাসুদুর রহমান বীরপ্রতীক, বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্ণেল (অব:) ডা. মোহাম্মদ গোলাপ হোসেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব:) আশরাফ উদ দৌলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্ণেল (অব:) আমিনুল ইসলাম ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব:) আব্দুস সালাম।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম। সঞ্চালনা করেন উত্তরবঙ্গ যাদুঘরের বোর্ড অব ট্রাস্ট্রির চেয়ারম্যান ও একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণিজন অ্যাডভোকেট এস.এম আব্রাহাম লিংকন।
অনুষ্ঠানে উর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের এক নজর দেখতে পার্শ্ববর্তী জেলা রংপুর, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, নীলফামারী, দিনাজপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজনরা ছুটে আসেন। অর্ধ সহস্রধিক মানুষের উপস্থিতিতে হলরুম ছিল কানায় কানায় পরিপূর্ণ।
এসময় সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন এমপি বলেন, এটি উত্তরবঙ্গ যাদুঘরের একটি অনন্য উদ্যোগ। আমরা এ যাদুঘরটি দেখে অভিভূত। মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি ধরে রাখলে আগামি প্রজন্ম জানবে একাত্তর সম্পর্কে। একটি দেশ কিভাবে স্বাধীন হয়েছে তার প্রামান্য দলিল এইসব যাদুঘর।