।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন গরম তেলে লাবণী খাতুন নামে এক গৃহবধূর শরীর ঝলসে দিয়েছে। এ ঘটনায় স্বামী মো. সুজন মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (৩১ আগস্ট) সকালে পৌরসভার জোনাইডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
দু’দিন পর আহত ওই গৃহবধূকে পুলিশ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। পরে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
১০ বছর আগে থেতরাই ইউনিয়নের কিশোরপুর গ্রামের মনছুর আলীর ছেলে সুজন মিয়ার সঙ্গে পৌর শহরের জোনাই ডাঙ্গা গ্রামের বাবলু মিয়ার মেয়ে লাবণী খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে লাবণীর কলহ লেগেই থাকত। এর জের ধরে বুধবার সকালে শ্বশুর মনছুর আলী, শাশুড়ি হামিদা বেগমের সহযোগিতায় লাবণীর শরীরে গরম তেল ছুড়ে মারে সুজন। এতে তাঁর হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। এ ঘটনা যাতে লাবণী বাবার বাড়িতে জানাতে না পারেন সে জন্য তাঁকে ঘরে তালা দিয়ে আটকে রাখা হয়। সুযোগ পেয়ে দু’দিন পর মোবাইল ফোন দিয়ে কল করে বিষয়টি খালাকে জানান। তিনি পুলিশের সহযোগিতায় লাবণীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেপে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে কুড়িগ্রাম সদর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী সুজন মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে লাবণীর বাবা বাবলু মিয়া শুক্রবার উলিপুর থানায় সুজন মিয়া, তার বাবা মনছুর আলী ও মা হামিদা বেগমের নামে মামলা করেছেন বলে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রুহুল আমিন সমকালকে জানিয়েছেন।