।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
মাইগ্রেনের সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গ হল তীব্র থরথর করে মাথাব্যথা । এই ব্যথা এতটাই তীব্র হতে পারে যে এটি আপনার দৈনন্দিন কাজকর্মে হস্তক্ষেপ করে। মাইগ্রেনের লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে বমি বমি ভাব, বমি, আলো ও শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতা। একটি মাইগ্রেন একজন ব্যক্তির থেকে অন্যের কাছে খুব আলাদা দেখতে পারে। মাইগ্রেনের ব্যথা কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিনও স্থায়ী হতে পারে।
মাইগ্রেনের ব্যথা থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি পেতে বাজারে অনেক ওষুধ পাওয়া যায়। বেশিরভাগ মানুষই পেইকিলার খেয়ে এই ব্যথা সারান, তবে দীর্ঘদিন এ ধরনের ওষুধ খেলে শারীরিক বিভিন্ন ক্ষতি হতে পারে। তাই মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে ঘরোয়া উপায়ে ভরসা রাখাই সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর।
মাইগ্রেনের কারণ কী?
এনএইচএসের মতে, মাইগ্রেনের ব্যথা কেন হয় তার সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করেন, এটি মস্তিষ্কের অস্বাভাবিক কার্যকলাপের ফলাফল। যা সাময়িকভাবে মস্তিষ্কের স্নায়ু সংকেত, রাসায়নিক পদার্থ ও রক্তনালিকে প্রভাবিত করে।
যে ধরনের প্রাকৃতিক উপাদানের মাধ্যমে মাইগ্রেনের মাথাব্যথা কমাবেনঃ-
কিশমিশ ভেজানো পানি
সারারাত এক গ্রঅস পানিতে কয়েকটি কিসমিস ভিজিয়ে রাখুন। সকালে কিশমিশ ছেঁকে ওই পানি পান করুন। এটি মাইগ্রেনের মাথাব্যথা উপশমে বিস্ময়কর কাজ করে।
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টানা ১২ সপ্তাহ ধরে এই বিশেষ পানীয় সেবনে শরীরের অতিরিক্ত পিত্ত কমাতে কাজ করে। ফলে মাইগ্রেনের সঙ্গে বিভিন্ন উপসর্গ যেমন- অ্যাসিডিটি, বমি বমি ভাব, জ্বালাপোড়া, মাথাব্যথা, গরম লাগা ইত্যাদি সমস্যার সমাধান করে।
জিরা-এলাচ চা
জিরা ও এলাচ কিছুক্ষণ পানিতে ফুটিয়ে নিন। তারপর ছেঁকে পান করুন। এই চা দুপুর বা রাতের খাবারের এক ঘণ্টা পরে বা মাইগ্রেনের লক্ষণ দেখা দিলেই পান করতে পারেন। এটি বমি বমি ভাব ও মানসিক চাপ দূর করতে কাজ করে।
ঘি
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘি মাইগ্রেনের ওষুধের মতো কাজ করে। এর পাশাপাশি শরীর ও মনের বাড়তি পিত্তের ভারসাম্য বজায় রাখতে কাজ করে ঘি। বিভিন্ন উপায়ে ঘি আপনি খেতে পারেন। চাইলে রাতে শোয়ার সময় দুধের সঙ্গে মিশিয়েও পান করতে পারেন। আবার মাইগ্রেনের ব্যথা উঠলেও এক বা দুই চা চামচ ঘি খেয়ে নিতে পারেন। এতে মিলবে উপকার।
