।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
হামলার শিকার হয়ে গত ৫দিন থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেডে মৃত্যু শয্যায় কাতরাচ্ছেন সাবিনা ও তার ভাসুর খায়রুল। মামলা দায়ের হলেও গ্রেফতার হয়নি কেউ। এদিকে মামলা তুলে নিতে আসামী পক্ষের হুমকি অব্যাহত। অভিযান অব্যাহত রয়েছে জানিয়েছেন মামলার দায়িত্বরত পুলিশ কর্তকর্তা।
সূত্রে জানা গেছে, চিলমারী উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের খাড়ুয়ার পাড় এলাকার মাঈদুল ইসলাম গং এর সাথে একই এলাকার হয়রত আলী গং এর চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে ঘটনার দিন সোমবার (১৫ আগস্ট) সকালে হয়রত আলী নেতৃত্বে মাহাবুব আলম গং মাঈদুল ইসলামের বড় ভাই খায়রুল ইসলামের উপর হামলা চালালে তার চিৎকারে খায়রুল ইসলামের পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাদের উপরও দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় এসময় সাবিনা, খায়রুল, মাইদুল, খতেজা, মোস্তাফিজার রহমান আহত হয়। পরে হামলাকারীরা বাদী পক্ষের দোকানপাটে হামলা চালায় ও লুটপাট করে। খবর পেয়ে এলাকাবাসী এগিয়ে আসে এবং আহতদের চিলমারী হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে গুরুতর অবস্থায় সাবিনা ও তার ভাসুর খায়রুল ইসলামে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
ঘটনার পেক্ষিতে খায়রুল ইসলামের ছোট ভাই আহত অবস্থায় চিলমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের করায় আসামী ও তাদের লোকজন মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও জীবন নাশের হুমকি প্রদান করছে বলে জানান, মামলার বাদী মাঈদুল ইসলাম। মাঈদুল ইসলাম আরো বলেন, হযরত আলীরা সব সময় প্রভাব খাটিয়ে আমাদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে এবং আমাদের বিভিন্ন ভাবে ক্ষতি করে আসছে এরই পেক্ষিতে ঘটনারদিন আমাদের উপর হামলা চালায় ও দোকানপাট ভাংচুর এবং লুটপাট করে।
গুরুতর আহত সাবিনা ও খায়রুল ইসলামের পরিবারের লোকজন জানান, দু’জনের অবস্থা খুব খারাপ এবং খায়রুল ইসলামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা বা বাহিরে নিতে হবে বলে জানিয়েছেন, চিকিৎসকরা। তারা আরো জানান, মামলা করার বেশ কয়েকদিন হলেও পুলিশ এখনো কোন আসামী গ্রেফতার না করায় তারা বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
আসামী গ্রেফতার করাসহ সকল প্রকার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়ে, চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আতিকুর রহমান বলেন, অন্যায়কারীদের কোন ছাড় দেয়া হবে না।
//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/আগস্ট/২০/২২