।। নিউজ ডেস্ক ।।
বীরাঙ্গনাদের সংঘাতকালিন সময়ে যৌন সহিংসতা; ক্ষতিপূরণ ও প্রতিকার বিষয়ক দিনব্যাপী আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (০৭ আগস্ট) সকালে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা প্রশাসন আলোর ভুবন কনফারেন্স কক্ষে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
বেসরকারি এনজিও নারীপক্ষের আয়োজনে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন নারীপক্ষের নির্বাহী সদস্য শিরীন হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশীদ লাল, সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসের উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মিজানুর রহমান, সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার হাবিবুর রহমান, হলোখানা ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল ইসলাম, পাঁচগাছী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন, সাংবাদিক হুমায়ুন কবির সূর্য, টিআইবি-সনাক কুড়িগ্রাম’র এরিয়া ম্যানেজার সৌমেন দাস, জেলা মহিলা পরিষদের সেক্রেটারী প্রতিমা চৌধুরী, কুড়িগ্রাম আরডিআরএস অফিসের প্রোগ্রাম ম্যানেজার তপন কুমার সাহা, নারী সংগঠন এএফএডি’র নির্বাহী প্রধান সাইদা ইয়াসমিন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কুড়িগ্রামে এখন পর্যন্ত ১০জন বীরাঙ্গনাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। আরো ৮জন রয়েছেন তালিকায়। এছাড়াও ৬৩জন সমাজসেবা অফিসে আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার।
নারীপক্ষের শিরিন হক জানান, বীরাঙ্গনাদের রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে পূনর্বাসনে সকল পক্ষকেই সামনে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা ৭৮জন বীরাঙ্গনাকে সাধ্যমতো মাসিকভাবে সহযোগিতা প্রদান করছি। কুড়িগ্রামের বীরাঙ্গনা নারী মুক্তিযোদ্ধাদের সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে সকল অনুষ্ঠানে তাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো দরকার। এছাড়াও বীরঙ্গনা নারী মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে শহরে ফলক তৈরীর উপর আহবান জানান তিনি।
তিনি আরো জানান, বীরাঙ্গনা/নারী মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে নিবন্ধন ও স্বীকৃতি প্রদান, সামাজিকভাবে পূণর্বাসন এবং সংঘাতকালিন সময়ে ক্ষতিপূরণের দাবীতে নারীপক্ষ সকলের সহযোগিতা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।