।। নিউজ ডেস্ক ।।
নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটায় ৭ বছরের এক কন্যা শিশুকে যৌন নির্যাতনের ঘটনা ধামাচাপা দিতে রাতের আধারে ৬০ হাজার টাকায় দফারফা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (১৮ জুলাই) কচাকাটা থানার ইন্দ্রগড় ব্যাপারীটারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সোমবার বিকেলে শিশুটিকে ঘুম পাড়িয়ে রেখে পাশের বাড়িতে যান তার মা। এই সুযোগে একই গ্রামের প্রতিবেশী মৃত আমির হোসেনের পুত্র ফজলুল হক (৩০) ঘরে ঢুকে শিশুটিকে যৌন নির্যাতন চালায়। শিশুটির আর্তচিৎকার শুনে তার মা ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসার সময় ধর্ষক ফজলুল হক দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় শিশুটির পরিবার থানায় মামলা করতে চাইলে কচাকাটা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল, কচাকাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আতাউর রহমান, ৪ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আবু বক্কর সোমবার গভীর রাতে মৃত মকবুল হোসেনের বাড়িতে বসে ৬০ হাজার টাকায় ঘটনাটি মিমাংসা করে। এদিকে মঙ্গলবার বিষয়টি কচাকাটা থানা পুলিশের নজরে আসার পর থানা পুলিশ তদন্তে যাওয়ার খবর পেয়েই শিশুটির পিতামাতা ও ধর্ষক ফজলুল হক পালিয়ে যায়। পরে পুলিশের কাছে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়। বৃহস্পতিবার এ খবর ছড়িয়ে পরে।
ধর্ষণের মতো স্পর্শকাতর বিষয় গ্রাম্য সালিশে বিচার কতটুকু যুক্তিযুক্ত এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল জানান, তিনি ঐ বিচারে উপস্থিত ছিলেন না। কচাকাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান জানান, শিশুটির সাথে তেমন কিছু হয়নি ইয়ার্কি করা হয়েছে। কিন্তু ইয়ার্কি করায় বিষয়টি সালিশে মিমাংসা করা হয়েছে।
কচাকাটা থানা অফিসার ইনচার্জ জাহেদুল ইসলাম জানান, শিশুটির সাথে যৌন নির্যাতন করায় শিশুটির পিতা বাদী হয়ে ফজলুল হকের বিরুদ্ধে গত বুধবার একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং ০৩,তারিখ ২০.৭.২২। আসামী গ্রেপ্তারে জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।