।। নিউজ ডেস্ক ।।
সারাদেশে শিক্ষক নির্যাতন ও হত্যার প্রতিবাদে কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা পরিবারের আয়োজনে ও উলিপুর মহারাণী স্বর্ণময়ী স্কুল এন্ড কলেজ গেটের সামনে উলিপুর – কুড়িগ্রাম সড়কে ঘন্টাব্যাপী প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আশুলিয়ায় শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার হত্যা ও নড়াইলের শিক্ষক স্বপ্ন কুমার বিশ্বাসকে নির্যাতনসহ সারাদেশে শিক্ষকদের উপর নির্যাতন ও হত্যার প্রতিবাদে কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা পরিবারের আয়োজনে মানববন্ধন করা হয়েছে। সোমবার (০৪ জুলাই) দুপুরে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কুড়িগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ড. আনোয়ার মন্ডল, খলিলগঞ্জ কারিগরী ও বাণিজ্যিক মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ রাশেদুজ্জামান বাবু ,কুড়িগ্রাম কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের হারুন অর রশীদ, অধ্যক্ষ পরেশ্বর চন্দ মোহন্ত, শিক্ষক জুলফিকার আলী ও তৌহিদুল ইসলাম ঠান্ডা প্রমুখ।
মানববন্ধনে বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন। এসময় বক্তারা বলেন, চট্রগ্রাম, সিলেট, সাতক্ষিরা, মুন্সিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নড়াইলসহ দেশবাপী শিক্ষকদের উপর জুলুম-নির্যাতনের কোন বিচার না হওয়ায় শিক্ষককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই নির্যাতন বন্ধে সরকারকে অবিলম্বে উদ্যোগ নেয়ার দাবী জানিয়ে শিক্ষকদের নিরাপত্তায় নতুন আইন প্রণয়নের দাবী জানানো হয়।
এদিকে সোমবার সকাল ১১টায় শহরের উলিপুর মহারাণী স্বর্ণময়ী স্কুল এন্ড কলেজ গেটের সামনে উলিপুর-কুড়িগ্রাম সড়কে ঘন্টাব্যাপী এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উলিপুর মহারাণী স্বর্ণময়ী স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম সরদার, উলিপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ দেবব্রত রায়, উলিপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়েল প্রধান শিক্ষক শাহাজাহান আলী,পন্ডিত মহির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস ছাত্তার, উলিপুর কলেজিয়েট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল চন্দ্র প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বলেন, দেশের প্রতিটি সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে শিক্ষকরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তাদের স্কুল কিংবা কলেজের কোন শিক্ষার্থীকে শীর্ষস্থানে দেখলে শিক্ষকরা গর্ববোধ করেন। কিন্তু জাতি গড়ার কারিগর সেই শিক্ষকদের প্রাণ যাচ্ছে কিছু কুলাঙ্গার ছাত্রের হাতে। এমনি সবার সামনে লাঞ্চিতও হতে হচ্ছে। আমাদের পরিবার সমাজ আছে, আমরা সম্মান নিয়ে বাঁচতে চাই। শিক্ষক লাঞ্চনার ঘটনায় জড়িতদের প্রত্যককে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন বক্তারা।