।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রামে সবকটি নদ-নদীর পানি গত ৪দিন ধরে কমলেও টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে ফের সোমবার (২৮ জুন) রাত থেকে বাড়তে শুরু করেছে সবগুলো নদ-নদীর পানি। ফলে আবারো ২য় দফা বন্যার আশংকা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গত ২৪ঘন্টায় আবারো ধরলা নদীর পানি দ্রুত বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এছাড়াও তিস্তা, দুধকুমর ও ব্রহ্মপুত্র নদেও পানি বেড়ে বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই করছে।
বুধবার (২৯ জুন) দুপুর ৩টায় স্থানীয় পাউবো জানায়, গত ২৪ঘন্টায় ধরলা নদীর পানি বেড়ে শিমুলবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৮সে.মি উপর দিয়ে, দুধকুমর নদীর পাটেশ্বরী পয়েন্টে পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৪ সে.মি উপর এবং ব্রহ্মপুত্র নদের নুনখাওয়া পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩৩সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ফলে আবারো এসব নদ-নদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চলসমূহ পানিতে তলিয়ে গেছে। প্রায় নতুন করে ফের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। গ্রামীণ রাস্তাঘাটে ফের পানি উঠতে শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত প্রথম দফা বন্যার ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ফের নতুন করে বন্যার সৃষ্টি হলে মারাত্মক বিপদের সম্মুখীন হবে এ জেলার নদী পাড়ের মানুষজন।
এদিকে গত ৪দিন ধরে নদনদীর পানি কমলেও বানভাসী মানুষগুলোর দুর্দশা কমেনি। এরই মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে নদ-নদীর পানি। পানি কমা বাড়ার সাথে সাথে এসব এলাকার বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। আশ্রয়কেন্দ্র ও উঁচু বাঁধে আশ্রয় নেয়া মানুষগুলোর এখন নিজ বাড়িতে ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়ল। এখনও বাড়িতে পানি থাকায় তারা তাদের নিজ গৃহে ফিরতে পারেনি। এরপর আবার ২য় দফা বন্যার শুরু নিয়ে এসব মানুষক আতংকিত হয়ে পড়েছে।
চলতি বন্যায় এ পর্যন্ত ২৯৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, ২৪টি মাধ্যমিক ও ৭টি মাদরাসাসহ ৩২৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনও পানি থাকায় সেগুলো বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে ১৬হাজার হেক্টর জমির ফসল এখনও তলিয়ে থাকায় তা নষ্ট হয়ে গেছে।