।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রাম সদরের ত্রিমোহণী বাজারে তুচ্ছ ঘটনায় গুরুতর আহত হোটেল শ্রমিক আউয়াল আলী (২৬) এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। তার মাথার উপরে ও পিছনে ফেঁটে গেছে। ডান হাত ও পা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকের পরামর্শে রয়েছেন।
জানা যায়, শনিবার (২৫ জুন) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের কালে গ্রামের মজিবর মিস্ত্রীর ছেলে আশিক মিয়া ওরফে টেম্পিল (২৫) ত্রিমোহনী বাজারে অবস্থিত মৃত: আজাদ আলীর ছ’মিলের পাশে প্রসাব করতে যায়। এ সময় মৃত: আজাদ আলীর ছেলে এবং জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফাহিম আজাদ টেম্পিলকে প্রসাব করতে বাঁধা দেয়। এসময় কাঠ দিয়ে তাকে আঘাত করতে গেলে ছ’মিলের কর্মচারীগণ তাকে বাঁধা দেন। এনিয়ে টেম্পিলের সাথে কথা কাটাকাটি হলে টেম্পিলের পক্ষ নিয়ে তার গ্রামের লোকজন এসে হৈ-চৈ করে। এ ঘটনার পর টেম্পিল বাজারের খোকা রেস্টুরেন্টে নাশতা খেতে যায়। সেখান থেকে তার চাচাসহ বের হয়ে আসার সময় ফাহিম আজাদ ও তার লোকজন টেম্পিলের উপর হামলার চেষ্টা করে। এসময় টেম্পিল দৌঁড়ে পার্শ্ববর্তী সাহা পাম্পের পাশ দিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় সাহা পাম্পের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একই গ্রামের মৃত: আব্দুলের পুত্র হোটেল শ্রমিক আউয়াল আলীকে রামদা দিয়ে মাথার উপরে ও পিছনে আঘাত করে সন্ত্রাসীরা। এসময় আউয়ালের মাথার পিছনে ফেঁটে যায়। এরপর সে মাটিতে লুটিয়ে পরলে সন্ত্রাসীরা লাঠিসোটা দিয়ে তাকে বেদম প্রহার করে। পরে গুরুতর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। তার অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়।
এ ব্যাপারে ফাহিম আজাদ জানান, টেম্পিল আমার বাড়ীর দরজার সামনে প্রস্রাব করছিল। বাঁধা দেয়ায় বেলগাছা ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য লিটুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী সন্ধ্যার সময় আমার উপর হামলার চেষ্টা করে। এ খবর পেয়ে আমার আত্মীয়-স্বজন ও দলের ছেলেরা তাদেরকে ধাওয়া করে। হোটেল শ্রমিক আউয়াল আলী কিভাবে আহত হয়েছে আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ জানান, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে এমন নৃশংস ঘটনা স্বাভাবিক সুস্থ মানুষের কাজ হতে পারে না। সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাসীই হয়। ব্যক্তির দায় কখনো সংগঠন নিবে না।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খান মো. শাহরিয়ার জানান, ঘটনাটি শুনেছি। পুলিশের পক্ষ থেকে ভিকটিমের চিকিৎসার বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। পরিবার থেকে এজাহারের প্রস্তুতি চলছে।