।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
কাঁঠাল আমাদের দেশি একটি ফল এবং খুবই সুস্বাদু। এটি মৌসুমি ফলও বটে। কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকে, যে আঁশটা আমাদের বাউয়েল মুভমেন্টকে সহায়তা করে। আমাদের সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। কাঁঠালের হলুদ যে অংশটা আমরা দেখি, সেটা পুরোপুরি ভিটামিন এ সমৃদ্ধ। ভিটামিন এ কিন্তু একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আমাদের শরীরে প্রতিনিয়ত ফ্রি রেডিক্যালস তৈরি হয়। সেগুলো আমাদের অসুস্থতার অন্যতম কারণ। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতারও কারণ। এমনকি এই ফ্রি রেডিক্যালসের কারণে আমাদের ক্যানসারও হতে পারে। আমাদের খেয়াল রাখতে হবে এই ধরনের খাবার যদি আমরা গ্রহণ করি, তাহলে অনেকটাই আমরা সুস্থ থাকতে পারব।
কাঁঠাল কিন্তু সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। যাঁদের ডায়াবেটিস আছে, ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত, অনেক দিন ধরে ডায়াবেটিস বেড়ে আছে, তাঁরা কাঁঠাল এড়িয়ে চলবেন। যদি ডায়াবেটিস পেশেন্টের ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে থাকে, তাহলে কিন্তু দুই কোয়া পরিমাণ গ্রহণ করা যাবে। কিন্তু প্রেগন্যান্ট উইম্যানরা কখনও কাঁঠাল বেশি পরিমাণে খাবেন না।
➣ কাঁঠালে ক্ষতিকারন ফ্যাটের পরিমান কম থাকায় কাঁঠাল খেলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে না।
➣ কাঁঠাল টেনশন, নার্ভাসনেস ও বদ হজম কমাতে সাহায্য করে।
➣ কাঁঠাল আঁশ যুক্ত খাবার। কাঁঠালের এই আঁশে ফাইবার আছে যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
➣ কাঁঠালে থাকা খনিজ উপাদান ও আয়রন দেহের রক্তস্বল্পতা দূর করে।
➣ কাঁঠালে থাকা ম্যাগনেশিয়াম ক্যালসিয়ামের মত হাড় গঠনে ও শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
➣ শিশুর ৬ মাস বয়সের পর থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি কাঁঠালের রস খাওয়ালে শিশুর শরীরের প্রয়োজনীয় সকল ভিটামিনের অভাব দূর হয় ও ক্ষুদা নিবারণ হয়।
➣ প্রতিদিন একজন গর্ভবতী মহিলাকে ২০০ গ্রাম পাকা কাঁঠাল খেলে তার ও গর্ভস্থ শিশুর সকল ধরনের পুষ্টির অভাব দূর হয়।
➣ দুগ্ধদানকারী মায়েরা কাঁঠাল খেলে তার বুকের দুধের পরিমান বাড়ে।
➣ কাঁঠালে ভিটামিন বি৬ আছে যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
➣ কাঁঠালে আছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস- যা আলসার, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ এবং বার্ধক্য প্রতিরোধ করতে সক্ষম।