।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে অবিরাম বৃষ্টি, উজান থেকে নেমে আসে পাহাড়ী ঢলে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার পানি বেড়ে নদী অববাহিকা এলাকা গুলো প্লাবিত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে চরাঞ্চলে চাষাবাদ করা বাদাম, পাট, মরিচ ক্ষেত ও আমন বীজতলা। নদীর পানি বাড়তে থাকায় ভয়ংকর রূপ নিয়েছে ভাঙন। অনেকে ভিটামাটি হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছে।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ তিস্তা নদীর ভাঙন ঠেকাতে উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের অর্জুন গ্রামে বালুভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ডাম্পিং করছে। কিন্তু উজানে মহাদেব সরদারপাড়া এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে এলাকাবাসী পাউবো সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। কিন্তু পাউবো কর্তৃপক্ষ ভাঙন রক্ষায় কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় এলাকাবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে গাছের ডালপালা ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে তিস্তা নদীর অব্যাহত ভাঙনে গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ৩০ পরিবারের বাড়িঘর ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে রয়েছে, কর্পুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কর্পুরা সরদার পাড়া কবর স্থান, কর্পুরা সরদার পাড়া জামে মসজিদ, বাঁধের রাস্তা সহ শতশত বাড়ি-ঘর।
শনিবার (১৮ জুন) বিকালে তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
দলদলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী সরকার জানান, বিগত ইউপি চেয়ারম্যানের প্রতিহিংসার কারণে মহাদেব সরদারপাড়া এলাকা ভাঙন রোধে কাজ করা হয়নি। এদিকে বন্যায় চরাঞ্চলের বাড়ি গুলোতে পানি ওঠায় রান্না করতে না পারায় খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
//নিউজ/উলিপুর//মালেক/জুন/১৮/২২