।। নিউজ ডেস্ক ।।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রামে ১৬টি নদনদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শুক্রবার (১৭ জুন) সকাল থেকে ব্রহ্মপূত্র ও ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। চিলমারীতে ব্রহ্মপূত্র নদের পানি ১১ ও ধরলা নদীতে সেতু পয়েন্টে ১৫ সে.মিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি ব্রীজ পয়েন্টে ২৩ সে.মিটার নীচ দিয়ে বইছে।
হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এরফলে জেলায় আড়াই হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। গ্রামিণ সড়কগুলো তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নীচু চরের বসতবাড়ীগুলোতে পানি প্রবেশ করায় লোকজন আসবাবপত্র নিয়ে উঁচু জায়গায় স্থানান্তরিত হচ্ছে। সদর উপজেলার পোড়ারচর গ্রামের দেড়শ পরিবার শুক্রবার বাড়ীঘর সড়িয়ে অন্যত্র যাওয়ার চেষ্টা করছিল। এই এলাকার প্রায় ৪হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পরেছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, জেলার রৌমারী ও চর রাজীবপুরে ৫০ হাজার মানুষ এবং কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা, নাগেশ্বরী, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলায় প্রায় ৩০হাজার মানুষসহ ৮০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পরেছে। এখন পর্যন্ত রৌমারী উপজেলায় ৬ শত প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। জেলা পর্যায়ে ২০ লক্ষ টাকা ৪০০মেট্রিকটন খাবার মজুদ রয়েছে বলে জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা জানিয়েছে।