।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই চলছে ঔষধের ব্যবসা। শুধু বালারহাট বাজারেই ৩২ টি ঔষধের দোকান রয়েছে। যার মধ্যে ৭টি হলো লাইসেন্সপ্রাপ্ত। বাকি গুলো অবৈধভাবে নিয়মিত দোকানে ঔষধ বিক্রি করছেন। ঘটনাটি ঘটিয়েছে ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বালারহাট বাজারের জাহিদ ফার্মেসী। বিক্রি নিষিদ্ধ সরকারী জন্ম নিরোধক ইনজেকশন, ভারতীয় যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও ইনজেকশন জব্দ করেছে কুড়িগ্রাম ঔষধ প্রশাসন বিভাগ। কুড়িগ্রাম ঔষধ প্রশাসন অফিসের সহকারী পরিচালক বিএম জাহিদ হায়দারের নের্তৃত্বে একটি দল ওই ফার্মেসীতে অভিযান চালিয়ে ঔষধগুলো জব্দ করেন। জব্দকৃত ঔষধের মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের ৩ মাস মেয়াদের বিক্রি নিষিদ্ধ জন্ম নিরোধক ইনজেকশনের ৬ টি অ্যাম্পুল, ভারতীয় যৌন উত্তেজক (টরকিউ) ট্যাবলেট ৩৬ টি ও ভারতীয় (নিউরোবিয়ন) ইনজেকশনের ১১টি অ্যাম্পুল রয়েছে।
কুড়িগ্রাম ঔষধ প্রশাসন সূত্র জানায়, গত রোববার সন্ধ্যায় অভিযানের অংশ হিসাবে বালারহাট বাজারের বিভিন্ন ঔষধের দোকানে অভিযান চালানো হয়। এসময় ওই বাজারের পল্লী চিকিৎসক মহব্বত আলীর মালিকানাধীন জাহিদ ফার্মেসী থেকে বাংলাদেশ সরকারের ৩ মাস মেয়াদের বিক্রি নিষিদ্ধ জন্ম নিরোধক ইনজেকশন, ভারতীয় যৌন উত্তেজক টরকিউ ট্যাবলেট ও ভারতীয় নিউরোবিয়ন ইনজেকশন উদ্ধার করে দোকানের মালিককে কারন দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে পল্লী চিকিৎসক মহব্বত আলী তার দোকানে বিক্রি নিষিদ্ধ সরকারী জন্ম নিরোধক ইনজেকশন, ভারতীয় যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও ইনজেকশন পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, রোগীর চিকিৎসার জন্য ঔষধ গুলো দোকানে রেখেছি।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম ঔষধ প্রশাসন বিভাগ অফিসের সহকারী পরিচালক বিএম জাহিদ হায়দারের, সহকারি সাজু মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বালারহাট বাজারের জাহিদ ফার্মেসীর মালিককে কারন দর্শানোর নোটিশ দিয়ে তার লাইসেন্স জব্দ করা হয়েছে। আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে হবে। সঠিক না জবাব পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
//নিউজ/ফুলবাড়ি//বেলাল/জুন/১৪/২২