।। নিউজ ডেস্ক ।।
চিলমারীর দক্ষিণ খাউরিয়া স্কুল এন্ড কলেজের অবশিষ্ট ভবনটি এখন হুমকির মুখে। এতে প্রায় ৯শতাধিক শিক্ষার্থীর পড়ালেখা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছে। তাদের বাড়ছে দুশ্চিন্তা। ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনে দিশাহারা শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক। হতাশায় এলাকাবাসী জানেনা কি করবে।
জানা গেছে, চিলমারী উপজেলায় চরাঞ্চল গুলোতে প্রয়োজনের তুলনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে অনেক কম। উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের প্রায় ৪হাজার পরিবারের জন্য একটি মাত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয় দক্ষিণ খাউরিয়া স্কুল এন্ড কলেজ। অত্র প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত রয়েছে প্রায় ৯শতাধিক শিক্ষার্থী। প্রয়োজনের তুলনায় নেই ক্লাসরুম বা প্রয়োজনীয় অবকাঠামো। এর উপর আবার ব্রহ্মপুত্র নদ ভাঙ্গছে। গত ২বছরে ভাঙ্গনের শিকার হয়ে প্রতিষ্ঠানের মুল ভবনসহ অবকাঠামো ইতিমধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নবনির্মিত ভবনটিও এখন রয়েছে নদী ভাঙ্গনের মুখে। যদিও গাদাগাদি করে একটি রুমে দুটি করে শ্রেনীর পাঠদান দেয়া হচ্ছে , এছাড়াও জায়গা না হওয়ায় স্থানীয় বাজারের হাটশেডে ক্লাস নেয়া হচ্ছে। সেই ভবন ও বাজারশেডটিও নদী ভাঙ্গনের মুখে পড়ায় দিশাহারা হয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুচিন্তায় শিক্ষক ও অভিভাবকরা। বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র সানি, সৌরভ, নিঝুম জানায়, স্কুলের তো সব কিছু নদীতে ভেঙ্গে গেছে। এখন যদি শেষ ভবনটিও ভেঙ্গে যায় তাহলে আমাদের কি হবে, আমরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমিনুল ইসলাম জানান, বেশির ভাগ ক্লাসরুম নদী গর্ভে বিলীন হওয়ায় শেষ ভবনটির একটি করে রুমে ২টি করে ক্লাসের পাঠদানের ব্যবস্থা করতে হয়, এছাড়াও শিক্ষার্থী বেশি হওয়ায় পাশ্ববর্তী বাজারের শেডে ক্লাস নিতে হচ্ছে।
স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ জহুরুল ইসলাম মন্ডল বলেন, দ্রুত নদীভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা না নেয়া হলে অবশিষ্ট ভবনটি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে, তাই আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমার নজরে আসেনি, সরেজমিন ঘুরে ব্যবস্থা নেয়া হবে।