।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
দিনের পর দিন, মাস পেড়িয়ে বছর, বছর পেড়িয়ে যুগ ভরসা ওদের বাঁশ ও কাঠের সাঁকো। জন্মেও পর থেকেই দেখছি বাঁশ আর কাঠের সাঁকো আর বন্যার সময় নৌকা বা ভেলা দিয়ে হতে হয় পাড়াপাড়। বছরের পর বছর নড়বড়ে বাঁশ ও কাঠের সাঁকো দিয়ে পার হতে গিয়ে ঘটে দুর্ঘটনা। শুকনা মৌসুমে চলাচল করা গেলেও বৃষ্টি আর বর্ষার সময় নড়বড়ে সাঁকোর সামনে এলেই বড় ডর (ভয়) করে কথা গুলো বললেন কলেজ ছাত্রি আতিকা। বছরের পর বছর থেকে দুর্ভোগ আর দুর্ঘটনা সামনে নিয়েই কখনো বাঁশ, কখনো কাঠের সাঁকোই ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে চিলমারী পাত্রখাতা, ডাংগারচরসহ ১০গ্রামের বাসিন্দার।
জানা গেছে, চিলমারী উপজেলা পাত্রখাতা মাঠের পাড় ভোলার ছড়া খালের উপর ব্রীজ না থাকায় পাত্রখাতা, মন্ডলেরহাট, কারেনবাজার, ডাংগারচরসহ প্রায় ১০ গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় ২০ হাজার মানুষের ভরসা এখন কাঠ ও বাঁশের সাঁকো। উক্ত খালের উপর প্রায় ১৪/১৫ বছর আগে একটি কালভাট নির্মান হলেও বছর যেতে না যেতেই পানির স্রোতে ভেঙ্গে পড়ে সেটি। সেটি নিলাম করা হলেও উক্ত স্থানে নেয়া হয়নি ব্রীজ বা সেতু নির্মানের উদ্যোগ। সেতু নির্মান না হওয়ায় কখনো সেচ্ছা শ্রমে আবার কখনো ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে বাঁশ ও কাঠের সাঁকো নির্মান করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে এলাকাবাসী। বাড়ছে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে ভোগান্তি। ঝুঁকি মাথায় নিয়ে চলাচল করছে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শতশত শিক্ষার্থীও। শুকনা মৌসুমের ভয় না থাকলেও বর্ষার ঝুঁকির সাথে ভয় বাড়ে দ্বিগুন। আর বন্যার সময় সেটিও বন্ধ হয়ে পড়ে আর ভরসা হয়ে দাঁড়ায় নৌকা ও ভেলা।
সরকারের উন্নয়নের কথা টেনে এলাকার আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রায় সব স্থানে রাস্তা হচ্ছে, সেতু ও ব্রীজ হচ্ছে আর আমরা বছরের পর বছর ধরে বাঁশ ও কাঠ জোড়াতালি দিয়ে সাঁকো বানিয়ে চলাচল করছি এটি কারো চোখে পড়েনা তাহলে আমরা কি উন্নয়নের ছোয়া পাবোনা।
আমিনুল ইসলামের সাথে সুর মিলিয়ে জেলেখা বলেন, প্রায় ১৪/১৫ বছর আগে একটি কালভাট নির্মান হয় আবার সেটি বছর যেতে না যেতে উল্টে যায় এরপর কালভাটটি ভেঙ্গে নিয়ে যায় কিন্তু তখন থেকে আর সেতু বা ব্রীজ নির্মানের কোন উদ্যোগ নেয়নি কেউ।
শিক্ষার্থী মজনু, বৃষ্টি, নজরুল বলেন, বাঁশ আর কাঠের সাঁকো কতটুকু শক্তিশালি তা তো সবাই জানে এর উপর নড়বড়ে এই বাঁশ আর কাঠের সাঁকোর কাছে এলেই বড় ডর (ভয়) করে কখন যেন পড়ে যাই। অপর এক ছাত্র বলেন, সাঁকো পাড়াপাড় হতে অনেক সময় অনেকে পড়েও যায়। উক্ত খালে উপর দ্রুত সেতু বা ব্রীজের দাবি জানিয়ে এলাকাবাসী বলেন, আমরা দুর্ভোগ আর ঝুঁকি থেকে বাঁচতে চাই।
দুর্ভোগ আর ভোগান্তির কথা স্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম আশেক আকা বলেন, আমরা বাঁশ ও কাঠের সাঁকো নির্মান বা মেরামত করতে পারি কিন্তু এখানে একটি ব্রীজ জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরেজমিন ঘুরে এলাকাবাসী ভোগান্তি দুর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমান।
//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/জুন/০৯/২২