।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
শরীরের একটি ছোট অঙ্গ হলো হার্ট। এটি আকারে ছোট ও ভেতরে ফাঁপা। হার্টের পেশিগুলোর প্রয়োজন হয় নিজস্ব রক্তের সরবরাহ। হৃৎপিণ্ড যখন তার কাজ ঠিকমতো করতে পারে না তখন হুট করে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু। এমন আকস্মিক হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর খবর আশপাশে প্রায়ই শোনা যায়। হঠাৎ হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়াকে বলা হয় মুভি হার্ট অ্যাটাক। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের আগে শরীর সংকেত পাঠায়। প্রথমে বুকে অল্প ব্যথার সঙ্গে অস্বস্তি থাকে। বেশির ভাগ সময় হার্ট অ্যাটাকে বুকের মাঝখানে চাপ বোধ হয়। কয়েক মিনিট ধরে ব্যথা থাকে। মাঝেমাঝে ব্যথা চলে যায় আবার ফিরে আসে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী, ৩০-৪০ বছর বয়সীদের সাডেন কার্ডিয়াক ডেথের ঝুঁকি বেশি। নারীদের তুলনায় ছেলেদের সাডেন কার্ডিয়াক ডেথের সমস্যা প্রায় দ্বিগুণ। তবে যাদের হার্টের অসুখ আছে তারা যদি নিয়মিত ওষুধ না খান, প্রেশার, সুগার নিয়ন্ত্রণ না করেন তাদের এই সমস্যার ঝুঁকি অনেক বেশি।
হার্ট অ্যাটাকের কারণে সাধারণত ১৫ মিনিটের বেশি সময় ধরে বুকে ব্যথা হয়। কিছু লোকের বুকে হালকা ব্যথা হয়, আবার কারও ব্যথা বেশি তীব্র হতে পারে। নারীদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো আরও অস্পষ্ট থাকে। তাদের ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব বা পিঠে বা চোয়ালের ব্যথা হতে পারে। কিছু কিছু হার্ট অ্যাটাক হঠাৎ করেই হতে পারে। আবার অনেকেরই কয়েক ঘণ্টা বা কয়েকদিন আগে সতর্কতা চিহ্ন প্রকাশ পায়।
হার্ট অ্যাটাক হলে দ্রুত যা করবেনঃ-
➤ প্রথমেই স্থানীয় জরুরি নম্বরে কল করুন। হার্ট অ্যাটাকের কোনো উপসর্গ উপেক্ষা করবেন না। প্রয়োজনে প্রতিবেশী বা বন্ধুকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলুন। অন্য কোন বিকল্প না থাকলে নিজেই দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছান কিংবা কোনো গাড়িতে উঠে চালককে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে দিতে বলুন।
➤ জরুরি সাহায্য চাওয়ার পরপরই একটি অ্যাসপিরিনজাতীয় ওষুধ খেয়ে নিন। অ্যাসপিরিন রক্তকে জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। হার্ট অ্যাটাকের সময় অ্যাসপিরিন খেলে হার্টের ক্ষতি অনেকটা কমে। যদি অ্যালার্জির সমস্যা থাকে তাহলে অ্যাসপিরিন খাওয়া যাবে না।
➤ যদি কোনো ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে যায় তাহলে দ্রুত তাকে সিপিআর দেওয়া শুরু করুন। যদি তিনি শ্বাস না নেন কিংবা পালস খুঁজে না পান তাহলে শরীরের রক্ত প্রবাহিত রাখতে সিপিআর দিন বারবার।
ব্যক্তির বুকের মাঝখানে জোরে ও দ্রুত ধাক্কা দিন। প্রতি মিনিটে প্রায় ১০০-১২০ কম্প্রেশন হতে হবে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখুন। এই কয়েকটি উপায় অনুসরণ করে আপনি নিজের এমনকি অন্যের জীবনও বাঁচাতে পারেন।