।। নিউজ ডেস্ক ।।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধিনে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় কুড়িগ্রাম জেলার ৯ উপজেলায় এক হাজার ৩০ টি শুন্য পদের বিপরীতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৬ হাজার ৪৪৬জন। একেকটি শুন্য পদের বিপরীতে প্রার্থীর সংখ্যা প্রায় ২৬জন। দুই ধাপে এ নিয়োগ পরীক্ষার লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী শুক্রবার (২০ মে ২২) ৫টি উপজেলার ৬৩২টি শুন্য পদের বিপরীতে ১৩ হাজার ৯৪১জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে জেলা শহরের ২১টি পরীক্ষা কেন্দ্রে। অংশগ্রহনকারী উপজেলাগুলো হলো উলিপুর, ফুলবাড়ী, রাজারহাট, রৌমারী ও চর রাজিবপুর। এর মধ্যে পুরুষ প্রার্থী ৭হাজার ৬৭০জন এবং মহিলা পরীক্ষার্থী ৬হাজার ২৭১জন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শহীদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা গ্রহনের জন্য সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এরপর ৩জুন অনুষ্ঠিত হবে অপর চার উপজেলা কুড়িগ্রাম সদর, চিলমারী, নাগেশ্বরী ও ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ৩৯৮টি শুন্য পদের বিপরীতে পরীক্ষার্থীদের লিখিত পরীক্ষা। এ সময় ১৮টি পরীক্ষা কেন্দ্রে অংশ নেবে ১২ হাজার ৫০৫জন পরীক্ষার্থী।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস দপ্তর সূত্রে জানাযায়, সবচেয়ে বেশী শুন্য পদ রয়েছে উলিপুর উপজেলায়। শুন্য পদের সংখ্যা ২৪৩টি। আর সবচেয়ে কম চর রাজিবপুরে ৫৬টি। এছাড়া অন্যান্য উপজেলায় সহকারী শিক্ষক পদ শুন্য রয়েছে কুড়িগ্রাম সদরে ৬৬টি, চিলমারীতে ৭৬টি, নাগেশ^রীতে ১৭২টি, ফুলবাড়িতে ১৪৮টি, ভুরুঙ্গামারীতে ৮৪টি, রাজারহাটে ৯০টি ও রৌমারী উপজেলায় ৯৫টি পদ শুন্য রয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস এবং জেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারী করা হয়েছে এ পরীক্ষাকে সামনে রেখে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় পরীক্ষা সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হলেও এক ঘন্টা আগে পরীক্ষার্থীদের হলে প্রবেশ করতে হবে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে সবাইকে পরীক্ষা করা হবে। পরীক্ষার প্রবেশপত্রের সাথে অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্রের মূল কপি সঙ্গে আনতে হবে। পরীক্ষার্থীর কান উন্মুক্ত রাখতে হবে। পরিধেয় পোশাক ছাড়া বাড়তি কোন কিছু সঙ্গে রাখা যাবে না। নিষিদ্ধ সকল প্রকার ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস। পরীক্ষার্থীদের প্রবেশ পত্রেও ১৭টি নির্দেশাবলী উল্লেখ করা হয়েছে।