।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
কখনো বৃষ্টি কখনো আবার চড়া রোদ। আর গরমে জীবন নাজেহাল। এ সময় হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি। তীব্র গরম ও জীবনযাত্রায় অনিয়মের কারণে বর্তমানে কমবয়সীদের মধ্যেও বেড়েছে হৃদরোগের ঝুঁকি। আবার এই রোগে হঠাৎই মৃত্যুবরণ করছেন অনেকেই। জানেন কি, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি গরমেও বেড়ে যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট আগাম সংকেত ছাড়াই আসে। হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হতে শুরু করলেই কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের সম্ভাবনা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। শীতকালে সাধারণত এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি হলেও গরমেও হানা দিতে পারে। হিট স্ট্রোকে হঠাৎ আপনার রক্তচাপ কমে যেতে পারে—আর তখনই ঘটে বিপত্তি!
আবার গরমে খাবার হজম করতেও বেশ অসুবিধা হয়। আবার বদহজম হলে হার্টের উপর তার প্রভাব পড়ে। তাই গরমে এ বষয়ে আরও সচেতন থাকা উচিত।
দুর্ঘটনা এড়াতে যা করবেনঃ-
➤ প্রথমেই খাদ্যাভ্যাস বদলে ফেলুন। এ সময় মাছ-মাংসের পাশাপাশি প্রচুর শাকসবজি খেতে হবে। শাকসব্জিতে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম, তাই হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। খাদ্যতালিকায় ওটস, ব্রাউন রাইস, বিনস, মুসুর ডাল, বাদাম, বীজ ও নানা ধরনের ফল রাখুন। বেশি করে পানি পান করুন। শরীরের তাপমাত্রা যাতে স্বাভাবিক থাতে সে বিষয় সতর্ক থাকুন।
➤ ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা থেকেও কিন্তু হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে হবে। নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করুন ও সক্রিয় থাকুন। আবার অতিরিক্ত শরীরচর্চার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। এর বদলে হালকা ব্যায়াম, হাঁটাহাঁটি, যোগব্যায়াম করুন।
➤ পর্যাপ্ত মাত্রায় ঘুম না হলেও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। শরীর যদি সঠিক পরিমাণে বিশ্রাম না পায়, তাহলে রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ ভালো হয় না। সেক্ষেত্রে স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ বেশি মাত্রায় হয়। হৃদরোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই দিনে ৮ ঘণ্টা ঘুম আবশ্যক।
➤ মানসিক চাপ কমাতে হবে। না হলে হৃদরোগের ঝুঁকি তো বাড়বেই, একই সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, বেশি খাওয়া, ঘুমের সমস্যা, মানসিক ক্লান্তিও দেখা দেয়। মনোসংযোগ বাড়াতে ধ্যান করুন নিয়মিত। যেসব কাজ করতে ভালো লাগে, সেগুলো করুন। কর্মব্যস্ততার পাশাপাশি বই পড়া কিংবা গান শোনা, ঘুরতে যাওয়া, আড্ডা দেওয়া ইত্যাদি করুন সময় পেলেই।