।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরের দূর্গাপুর ইউনিয়নের ঝাকুয়াপাড়া গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহাবুবার রহমানের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার। গতকাল বিকেল ৫টার দিকে এ হামলার ঘটনার পর শিক্ষক মাহাবুবার রহমানকে আহতবস্থায় কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিক্ষক মাহাবুবার রহমান উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের খারিজা কামাল সরকারি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।
এজাহারের আবেদন ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের মৃত আব্দুর সামাদ মিয়ার পুত্র স্কুলশিক্ষক মাহাবুবার রহমান (৪০) এর সাথে একই গ্রামের আব্দুল আজিজ এর পুত্র শামিম সরকার (৪০) ও মৃত হাফিজ এর পুত্র রাজু আহম্মেদ (৪৫) গংদের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জেরে কিছুদিন ধরে আব্দুল আজিজ এর পক্ষের লোকজন মিজানুর রহমান ও তার পরিবারের লোকজনকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল শনিবার বিকেলে প্রধান আসামী মোঃ শামীম সরকার, পিতা- মোঃ আঃ আজিজ সরকারসহ ৩ থেকে ৪ জন লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দলবদ্ধভাবে হামলা, বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এতে শিক্ষক মাহাবুবার রহমানসহ কয়েকজন আহত হন।
পরে স্থানীয় লোকজন মাহবুবার রহমান ও তার ভাই মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। এ ঘটনায় মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ওই দিন রাতেই ২ জন নামীয় ও ৩ থেকে ৪ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে উলিপুর থানায় একটি এজাহার দায়েরের আবেদন করেন। আবেদনে আব্দুল আজিজ এর পুত্র শামিম সরকারকে ১ নং ও মৃত হাফিজ সরকারের পুত্র রাজু আহমেদকে ২ নং আসামী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ১ নং আসামী শামীম সরকার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মচারী হিসেবে চাকরিরত আছেন বলে জানা গেছে।
হামলার শিকার শিক্ষক মাহবুবার রহমান বলেন, শনিবার আব্দুল আজিজ তার পক্ষের লোকজন নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর চালিয়ে নগদ অর্থসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র লুট করে নিযে যায়। এ সময় আমি এবং আমার ভাই বাধা দিলে আমাদেরকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে গুরুতর আহত করে। এখন তাদের বিরুদ্ধে থানায় এজাহারের আবেদন করায় তারা আমার বাড়িতে গিয়ে আমাকে দেখে নেবে বলেও বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে।
প্রতক্ষ্যদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন ৩ থেকে ৪ জন লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভুক্তভোগীর বাড়িতে হামলা চালায় এবং শিক্ষক মাহাবুবার রহমানকে আঘাত করতে থাকে। পরে স্থানীয় কয়েকজন আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে উলিপুর থানায় একটি এজাহার দায়েরের আবেদন করা হয়েছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে ভুক্তভোগীর পরিবার জানিয়েছে। তবে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির জানান, “উক্ত বিষয়ে আমি এখনও কিছু জানতে পারিনি”।