।। সোহানুর রহমান সোহান।।
‘এই টুপি লাগে টুপি, এই আতর লাগে আতর’ এমন মুহুর্মুহু ডাকে এখন ভারি হয়ে উঠেছে কুড়িগ্রামে ঈদের শেষ সময়ের কেনাকাটার বাজার। পথের ধারে টেবিল ভর্তি টুপি আর নানা সুবাসিত আতরের দোকান নিয়ে বসেছে আব্দুল মতিন। আব্দুল মতিনের মতো সকল ব্যবসায়ীদের জন্য ঈদ যেন এক ক্ষণিকের বারতা নিয়ে এসছে। চোখ-মুখে এক পরিতৃপ্ততা নিয়ে আব্দুল মতিন বলেন, “এবার ঈদত যদিও আগের নাহান বেচাকেনা নাই তারপরও গত দুই ঈদের চিয়েও ভালে বেচবানাইগছি ভাই তোমার গুলের দোয়ায়”।
অন্যদিকে আন্ডারগামেন্টসের দোকানগুলোতেও শেষ সময়ে বাড়ছে মানুষের চাপ।
সুগন্ধি কিনতে আসা শাহীন আলম বলেন, “ঈদের সব কেনাকাটা শেষ হয়েছে পরিবারের তবে আতর ছাড়া ঈদ তো একেবারেই পানসে তাই আতর নিতে এসেছি”। প্রতি ঈদের চাঁদ রাতে সোনামণিদের উচ্ছ্বাস ছড়ায় মেহেদী রাঙা হাতে। তাই শেষ সময় ভীড় বাড়ছে প্রসাধনীর দোকানগুলোতেও। জনশ্রুতিতে সরব নামের এক কোম্পানির মেহেদী কিনতে আসা ছোট্ট মনি মিফতাহুল জান্নাত বলছিল, “ঈদে আমার মেহেদী লাগবেই, হাত ভরে আমি মেহেদী দেবো আজ।”
এদিকে বাজার মালিক সমিতির কমিটির সদস্য ফারুক হোসেন জানান, “যদিও গত দু’বারের চেয়ে এবারের বেচাকেনার হার খানিকটা বেশি তবে এটি গতানুগতিক ঈদের বেচাকেনায় আমাদের যে প্রত্যাশা থাকে সেটিকে পূরণ করেনি।”
করোনা কালীন ভঙ্গুর অর্থনীতির প্রভাব এই ঈদ কেন্দ্রিক বেচাকেনাতেও প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে বলে অনেক বিক্রেতাই মন্তব্য করেছেন।
কুড়িগ্রামের ঈদ বাজারের নিরাপত্তার প্রশ্নে কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, “নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশের ৬টি টিম কাজ করছে। এছাড়াও সাদা পোশাক, চেকপোস্ট ও টহল পুলিশের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে পুরো বাজার জুড়ে।
//নিউজ/কুড়িগ্রাম//সোহান/মে/০২/২২