।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরের ধামশ্রেনী ইউনিয়নে ঈদ উপলক্ষে হতদরিদ্র ও দুঃস্থদের মাঝে ভিজিএফ এর চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাল বিতরণে নেয়া হয়েছে অনিয়ম, দুর্নীতি আর কৌশল। চেয়ারম্যানের মদদে সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ইউপি সদস্যরা যে যার মতো ভিজিএফ এর চাল উত্তোলন করে করে যেখানে সেখানে নিজেদের পছন্দমত লোকদের মাঝে চাল বিতরণ করছেন। ফলে প্রকৃত হতদরিদ্ররা বঞ্চিত হয়েছে। শুধু তাই নয় চালও ছিল তিন ধরনের। চিকন, মোটা ও পোকা ধরা নিম্নমানের চাল। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে ঈদুল-ফিতর উপলক্ষে ধামশ্রেনী ইউনিয়নে ৫ হাজার ২১০জনকে ১০কেজি করে ৫২১মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। আর তা ওই ইউনিয়নে স্থায়ীভাবে বিভাজন করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সেই সুযোগে চেয়ারম্যানসহ ইউপি সদস্যরা চাল বিতরণের নামে মাস্টার রোল তৈরি করে নেয় দুর্নীতির আশ্রয় আর এই দুর্নীতির সঙ্গে সঙ্গত হয় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাও।
জানা গেছে, গত ২৯ এপ্রিল বিকেলে ধামশ্রেনী ইউপি চেয়ারম্যান ইদ উপলক্ষে হতদরিদ্র ও দুঃস্থদের মাঝে ভিজিএফ এর চাল বিতরণে জন্য অসৎ উদ্দেশে তার নিজ এলাকায় বিঞ্চুবল্লভ কমিউনিটি ক্লিনিকে আত্মীয় স্বজন ও পছন্দমত লোকদের মাঝে চাল বিতরণ করেন। অথচ ইউপি খাদ্য গুদাম থেকে সব চাল বিতরণের নিয়ম থাকলেও নামকাওয়াস্তে তা বিতরণ করা হয়েছে।
নাম না বলা শর্তে কয়েকজন সুবিধাভোগি ভিজিএফ এর অনুমোদিত আইডি কার্ড হাতে নিয়ে সাংবাদিকদের জানান, সামান্য দশ কেজি চালের জন্য তিন-চার দিন থেকে ঘুরছি চেয়ারম্যান আমাদের চাল দিচ্ছে না।
নিয়োগকৃত ট্যাগ অফিসার উপজেলা পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্প অফিসার রিয়াজুল হক বলেন, আমি ইউনিয়ন পরিষদে এসে দেখি সেখানে চাল বিতরণ না করে বিঞ্চুবল্লভ কমিউনিটি ক্লিনিকে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। বিষয়টি আমি সঙ্গে সঙ্গে ইউএনও স্যারকে জানিয়েছি। তিনি আমাকে বলেছেন দুই জায়গায় বিতরণে আপনার সমস্যা হলে এক জায়গায় বিতরণ করেন।
খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) শাহিনুর রহমানের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও ফোন রিসিভ করেন নাই।
এ ব্যাপারে ধামশ্রেনী ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, বিতরণের সুবিধার্থে ইউএনও স্যারের অনুমতি সাপেক্ষে দুই জায়গায় চাল বিতরণ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল কুমার দুই জায়গায় চাল বিতরণের অনুমতি দেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব অনুমতি চেয়েছিলেন আমি দেইনি। সুবিধাভোগী দের চাল না দিয়ে ঘুরানো দুঃখজনক। বিষটি দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
//নিউজ/উলিপুর//মালেক/মে/০২/২২