।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে দরপত্রের লটারির ফলাফল পরিবর্তনের অভিযোগে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে রিট পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) কুড়িগ্রাম সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে মেসার্স অর্ক ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী আবু বক্কার সিদ্দিক স্পেশাল পিটিশনে অভিযোগটি দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদির আইনজীবী অ্যাড. সাইদুর রহমান সাইদ।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগি আবু বক্কার সিদ্দিক কুড়িগ্রাম সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে পেনাল কোডের ৪২০ ধারা সহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫ (১) ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এতে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভাপতি ইউএনও বিপুল কুমার, দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী কে.কে.এম সাদেকুল আলম, পিআইও সিরাজুদ্দৌলাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। কুড়িগ্রাম সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. আব্দুল মান্নান অভিযোগটি আমলে নিয়ে ওই দিনই বাদীর জবানবন্দি শেষে উপপরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), সমন্বিত জেলা কার্যালয় রংপুরকে তদন্ত করে আগামী ২২ মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি উপজেলা পরিষদ হলরুমে ‘গ্রামীণ রাস্তার ১৫ মিটার দৈর্ঘ্য পর্যন্ত সেতু/কালভার্ট নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের লটারি অনুষ্ঠিত হয়। লটারিতে পাঁচটি গ্রুপে বিজয়ী ঠিকাদার নির্বাচন করা হয়। এসময় ১ নং গ্রুপে দরপত্রের লটারিতে অর্ক ট্রেডার্স নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিজয়ী হয় (সিএস ক্রমিক নং-১৫৯)। কিন্তু লটারির পরে অর্ক ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী আবু বক্কার সিদ্দিক পিআইও সিরাজুদ্দৌলার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি টালবাহানা শুরু করেন। এসময় ঠিকাদারকে ২ লাখ টাকা নিয়ে কাজটি ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। এতে ঠিকাদার রাজি না হওয়ায় পিআইও কাজ বাতিলের হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন ওই ঠিকাদার। পরে অর্ক ট্রেডাসের নাম পরিবর্তন করে পিআইও অফিসের কার্যসহকারী আনিছুর রহমান মুকুলের আপন ছোট ভাইকে (মা এন্টারপ্রাইজ) বিজয়ী দেখানো হয়। এ নিয়ে ভুক্তভোগী ঠিকাদার গত ২৪ মার্চ ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ প্রাপ্তির পর ইউএনও বিপুল কুমার বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও পরে রহস্যজনক কারণে তিনিও নিশ্চুপ হয়ে যান। অবশেষে ওই ঠিকাদার কোন প্রতিকার না পেয়ে আদালতে তদন্তের জন্য রিট পিটিশন করেন।
ঠিকাদার আবু বক্কার বলেন, অর্ক ট্রেডার্স বিজয়ী হলেও পিআইও সহ দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্যরা লটারির ফল পরিবর্তন করে জালিয়াতি ও প্রতারণা করেছেন। ইউএনওকে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার না পাওয়ায় আদালতের দারস্থ হয়েছি।
বাদির আইনজীবী অ্যাড. সাইদুর রহমান সাইদ বলেন, ভূক্তভোগি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় আদালতের শরনাপন্ন হয়েছেন। সঠিক তদন্ত হলে আমার মোয়াক্কেল ন্যায় বিচার পাবেন বলে আমি আশা করি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল কুমারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।
//নিউজ/উলিপুর//মালেক/এপ্রিল/২৮/২২