।। নিউজ ডেস্ক ।।
চার বছরের জন্য কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম জাকির হোসেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোছা. রোখছানা বেগম সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা এক আদেশে রাষ্ট্রপতির অনুমতিক্রমে তাকে চার বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
ড. জাকির হোসেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং বর্তমানে ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মো. মকবুল হোসেন ও জামিলা খানমের পুত্র জাকির হোসেন ১৯৯১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রংপুর জেলার বদরগঞ্জ থানার অন্তর্গত উত্তর বাউচান্দি পাকের মাথা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।
ড. এ কে এম জাকির হোসেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষিতে স্নাতক ও ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এম এস ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে তিনি জাপানের গিফু ইউনির্ভাসিটি থেকে প্লান্ট ফিজিওলজি অ্যান্ড বায়োকেমিষ্ট্রি বিষয়ে পিএইচডি এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার ফর এগ্রিকালচারাল সায়েন্স থেকে পোস্ট ডক্টরাল সম্পন্ন করেন। ড. এ কে এম জাকির হোসেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগে ১৯৯৭ সালে প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন। পরবর্তীতে ২০০০ সালে সহকারী অধ্যাপক , ২০০৫ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০১০ সালে তিনি অধ্যাপক পদে উন্নীত হন।
তিনি ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ এবং সীড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলাজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেনের কিউটর, প্রাক্টর, পরিচালক, বিশ্ববিদ্যালয় সিকিউরিটি কাউন্সিল, পরিচালক পরিবহণ শাখা, সাধারণ সম্পাদক বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি নির্বাচিত যুগ্ম সম্পাদক ও সহ-সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন বাকৃবি এবং শিক্ষা ও গবেষণা কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্বসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত ছিলেন। অধ্যাপক জাকির অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও কনফারেন্সে যোগদান করে গবেষণালব্ধ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এবং বিভিন্ন টেকনিক্যাল সেশনে চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার লেখা ৫টি গবেষণামূলক প্রবন্ধ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।