।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
ঘড়-ঘড় শব্দে একটানা চলছে সেলাই মেশিনগুলো। সকাল থেকে গভীর রাত এমন কি পুরো রাত পর্যন্ত দূর থেকে শোনা যাচ্ছে মেশিনের শব্দ। হাতে-পায়ে সমানতালে কাজ করে যাচ্ছেন দর্জি। দম ফেলারও যেন সময় নেই। নেই কাষ্টমারের সাথে কথা বলার সময়। ঈদকে সামনে রেখে দর্জিপাড়ার এমন ব্যস্ততা চিলমারীর সর্বত্র। কখন রাত কেটে যাচ্ছে টেরই যেন পাচ্ছে না, রাতের পর রাত জেগেই পার করে দিচ্ছেন ব্যস্তমত দর্জিরা।
উপজেলার বিভিন্ন দর্জির দোকান ঘুরে দেখা যায়, মহিলাদের পোশাকের দোকানগুলোতেই সবচেয়ে বেশি ব্যস্ততা। থ্রি-পিস, কামিজসহ বাহারি ডিজাইনে পোশাক তৈরি করছে লেডিস টেইলার্স শপগুলো। পুরুষের পোশাকের টেইলার্সদের ব্যস্ততা কম নয়। নানা ডিজাইনের পাঞ্জাবি, শার্ট-প্যান্ট সেলাই চলছে হরদম। থানাহাট বাজারের মিতু টেইলার্সের মাষ্টার মোঃ ফাইদুল জানান, রমজানের আগে থেকে শুরু হওয়া তাদের এ ব্যস্ততা চলবে চাঁদরাত পর্যন্ত। এমনকি সেই দিনটিও আমাদের ব্যস্ত সময় পার করা লাগে। যারা একটু ফ্যাশন সচেতন ও গায়ের সঙ্গে ফিটিংস্ কাপড় পছন্দ করেন তারা রেডিমেড পোশাক না কিনে নিজের ইচ্ছামতো বানিয়ে নিতে চান বেশি। অন্য সময়ের তুলনায় রমজান মাস এলেই কাজের চাপ খুব বেশি হয়। শুধু মিতু, ভিআইপি, প্রমিচ টেইলার্ম নয় থানাহাট বাজারের প্রায় অর্ধশতাধিক টেইলার্সসহ উপজেলার প্রায় ৫শতাধিক দর্জির দোকানে চলছে নতুন পোশাক তৈরির এমন ব্যস্ততা। উপজেলার থানাহাট, রমনা, জোড়গাছ, বালাবাড়ি হাট, ফকিরেরহাট, মাষ্টারের হাটসহ গ্রাম গঞ্জসহ প্রতিটি বাজারের দর্জিদের দম ফেলানোর সময় নেই। এমনকি চলাঞ্চল এলাকায় বসে নেই দর্জিরা। ঘড়-ঘড় শব্দে কাজের চাপে ব্যস্ততার ভারে চিলমারীর দর্জিরাও এখন নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।
//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/এপ্রিল/২৪/২২