।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুর উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের কাজীপাড়া গ্রামের মেসার্স এমবিইউ ব্রিকস নামের একটি ইট ভাটার বিষাক্ত ধোয়ায় কৃষকদের শতাধিক বিঘা জমির ফসল, আম-কাঁঠাল, জাম, লিচু, সুপারি, নারিকেলসহ শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধোয়ার কারণে পচন ধরে ঝরে পড়ছে আম ও কাঁঠালসহ অন্যান্য ফল। এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজন বিষয়টি দ্রুত সমাধানের দাবী জানিয়েছেন।
ইটভাটাটি থেকে ইট পোড়ানোর বিষাক্ত গ্যাস ছেড়ে দেয়ায় পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ওই এলাকার শতাধিক বিঘার জমির ফসল, আম-কাঁঠাল, জাম, লিচু, সুপারি, নারিকেলসহ শাকসবজি।
ইট ভাটার বিষাক্ত ধোয়ায় পঁচে যাওয়ায় ঝড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে বাগানের আম ও কাঁঠাল। ধোঁয়ার কারণে ধানগাছ লালচে হয়ে গেছে। পাতা কুঁকড়ে গেছে। ধানের শীষ চিটায় পরিণত হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পরেছেন কৃষকরা। ঋণ নিয়ে ফসল ফলায় তা পরিশোধ নিয়ে চিন্তিত তারা।
এ ব্যাপারে নুর ইসলাম নামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক বলেন, আমার বাড়ির ১শ মিটারের মধ্যে মেসার্স এমবিইউ ব্রিকস নামের এই ইট ভাটার বিষাক্ত ধোয়ার কারণে প্রতি বছরেই আমার বিভিন্ন প্রকার ফসল নষ্ট হচ্ছে। ভাটার মালিককে অনেক বার বলার পরেও তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এদিকে ক্ষতি শুধু ধানের হচ্ছে না, বাড়ির বিভিন্ন প্রকার গাছেই ফল ধরছে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমার আকুল আবেদন তারা যেন আমাদের এই বিষাক্ত ধোঁয়া থেকে মুক্তির ব্যবস্থা করে দেয়।
স্থানীয় নজরুল ইসলাম বলেন, ভাটার চারিদিকে যত প্রকার ফসলি জমি আছে সবারই ক্ষতি হচ্ছে। আমরা এলাকার সবাই ভাটার মালিককে অনেক বার বলেছি তারা কোন ব্যবস্থা নেননি। এখানে প্রতিবিঘা জমিতে ধান হতো ১৫-১৬ মণ। এখন হচ্ছে ৭-৮ মণ তাহলে এতো বড় ক্ষতি হলে আমরা কি ভাবে বাঁচব।
ওই এলাকার বিউটি বেগম বলেন, এই ভাটার বিষাক্ত ধুঁয়ার কারণে ছোট ছোট বাচ্চারা কাশিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এখানকার অনেক শিশুর এ্যাজমা পর্যন্ত হয়েছে। আমার বাচ্চারও কাশি ভালো হচ্ছে না।
এ বিষয়ে জানতে মেসার্স এমবিইউ ব্রিকস নামের ইটভাটার মালিক আব্দুল মালেককে মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপুল কুমার জানান, আমার কাছে কেউ কোন অভিযোগ করেননি। অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।