।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে কিছুতেই অবৈধ বালু-মাটি বিক্রির ব্যবসা বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। চরের বালু বিক্রির পর এবার শুরু হয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কাটার পালা। তবে দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র বাঁধের রাস্তা কেটে আসলেও কিছুই জানেনা পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফলে বর্ষা মৌসুমে কয়েক কোটি টাকার বাঁধ রাস্তাটি ভেঙে অনায়াসে লোকালয়ে পানি ঢুকে মানুষের অবর্ণনীয় কষ্টের কারণ হবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি সূত্র জানায়, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৪ কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে চিলমারী উপজেলার পুঁটিমারি হতে হাতিয়া ইউনিয়নের বাগুয়া অনন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন ৮ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রাস্তা সংস্কার করা হয়।
সরেজমিনে হাতিয়া ইউনিয়নের বাগুয়া অনন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছন থেকে কয়েকদিন ধরে স্বপ্নসিঁড়ি বালু নামের একটি ভূইভোঁড় সংগঠন অবাধে বাঁধ রাস্তার মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। মাটি কাটার টোকেন হিসেবে জাতীয় শ্রমিক লীগ হাতিয়া ইউনিয়ন শাখার নাম ব্যবহার করা হয়েছে। ওই টোকেনে হাতিয়ার সদস্য সচিব পরিচয়ে ফারুখ হোসাইন নামের এক ব্যক্তি স্বাক্ষর ও তারিখ ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ফারুক হোসাইন নামের ওই ব্যক্তি জাতীয় শ্রমিক লীগের নেতা পরিচয় দিয়ে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬টি ট্রাক্টরে করে অবাধে বাঁধ রাস্তা মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। তারা আরো জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোক এসে দেখে গেলেও অদৃশ্য কারণে বাঁধ কাটা বন্ধ হচ্ছে না।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পাউবো‘র দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারি প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, মাটি কেটে বাঁধের কাজ করা হচ্ছে। তবে বাঁধ রাস্তা কাটা হচ্ছে না।
এ বিষয়ে বাঁধ রাস্তা কাটার কথা স্বীকার করে জাতীয় শ্রমিক লীগ হাতিয়া ইউনিয়ন শাখার সদস্য সচিব ফারুখ হোসাইন বলেন ওখানকার (বাঁধের রাস্তার) মাটি কেটে বাঁধের রাস্তা সংস্কার করা হচ্ছে।
উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি হাসান আলী বলেন, আমি এ ব্যাপারে কোন কিছু জানিনা। তবে বাঁধের রাস্তার মাটি কাটা ঠিক না।
উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি জানান ঘটনাস্থলে লোক পাঠানো হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বাঁধের রাস্তার মাটি কাটার খবর আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম।
//নিউজ/উলিপুর//মালেক/এপ্রিল/১৯/২২