।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
রৌমারীতে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণির একাধিক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি অভিযোগ উঠেছে। এর জেরে বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীরা।
ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের উজান ঝগড়াচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের নাম মো. আশরাফুল আলম।
জানা গেছে, আশরাফুল আলম ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ১১ জুন উজান ঝগড়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বে পালন করছেন।
সরেজমিনে খোঁজ নিতে গেলে স্থানীয়রা জানান, ঝগড়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলম ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির একাধিক ছাত্রীকে নিয়মিত যৌন হয়রানি করে আসছিলেন। সর্বশেষ পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে হয়রানি করেন তিনি। পরে ওই ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি তার পরিবারকে বলে। সে আর ওই বিদ্যালয়ে যাবে না বলে পরিবারকে জানায়। এ ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর প্রধান শিক্ষকের দ্বারা একাধিক ছাত্রীর যৌন হয়রানির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। পরে ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতির কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন।
স্কুল এলাকায় গেলে হয়রানির শিকার কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হয়। এক ছাত্রী জানান, প্রধান শিক্ষক আশরাফুল স্যার বিভিন্ন সময় তার কক্ষে ডেকে নিয়ে গায়ে হাত দিতেন, কোলেও বসাতেন। বিষয়টি ছাত্রীদের বিব্রত করলেও কেউ ভয়ে কিছু বলতো না। শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা অভিযুক্ত ওই প্রধান শিক্ষককে শাস্তি দাবি করেন।
ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুল কাসেম বলেন, ঘটনার পর থেকে পঞ্চম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্রী ক্লাসে আসেছেন না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, প্রধান শিক্ষকের ব্যবহার তেমন একটা ভালো না।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মো. আশরাফুল অভিযোগ অস্বীকার করে আলম বলেন, এলাকায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা গুজব রটাচ্ছে।
অভিযোগ সম্পর্কে রৌমারী থানার ওসি মোন্তাছের বিল্লাহ্ বলেন, অভিযোগের বিষয় মৌখিকভাবে শুনেছি। তবে এখনও কেউ এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেয়নি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগীদের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ করার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার (টিও) মো. নজরুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়েছি। ওই বিদ্যালয়ে সরেজমিন গিয়ে বিষয়টি খোঁজখবর নেয়া হবে।
//নিউজ/রৌমারী//সুভাষ/এপ্রিল/১৯/২২