।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে ঋণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে উপজেলা বিআরডিবির (পল্লী উন্নয়ন কর্মসূচি) কর্মকর্তা শাহিন মিয়ার বিরুদ্ধে তদেস্তর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) বিআরডিবির (সম্প্রসারণ ও বিশেষ প্রকল্পের) যুগ্নপরিচালক মো. আব্দুল কাদের স্বাক্ষরিত একটি পত্রে বিআরডিবির উপ-পরিচালক (কুড়িগ্রাম) নুর হোসেন মিয়াকে এ নির্দেশ দেয়া হয়। তবে এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও তদন্ত আলোর মুখ না দেখায় প্রকৃত সুবিধা বঞ্চিত সমবায়ীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
মহামারী করোনা ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষুদ্র উদোক্তা ও বিআরডিবি সমিতির ক্ষতিগ্রস্থ সদস্যদের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য এ উপজেলায় প্রায় ৩৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু প্রকৃত সমবায়ীদের বাদ দিয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে উৎকোচের বিনিময় উপজেলা বিআরডিবির (পল্লী উন্নয়ন কর্মসূচি) কর্মকর্তা শাহিন মিয়া তার আপন বোনসহ নিজস্ব লোকদের মাঝে এ ঋণ বিতরণ করেন। এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ সরকার গত ১৬ ফেব্রুয়ারি পল্লী উন্নয়ন বোডের উপ-পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এতে কোন ফল না পাওয়ায় গত ৭ মার্চ উপজেলার কেকতির পাড় কৃষক সমবায় সমিতির (কেএসএস) সমবায়ী বাবর আলী বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ নিয়ে গত জাতীয়, স্থানীয় ও বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর পরই উপজেলা জুড়ে চাঞ্চ্যলের সৃষ্টি হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সমবায়ী জানায়, উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা শাহীন মিয়ার বড়ভাই হেড অফিসে (বিআরডিবি) কর্মরত রয়েছেন। ফলে উপপরিচালক নুর হোসেন মিয়া শাহীন মিয়ার ঊর্ব্ধতন কর্তৃপক্ষ হওয়ার পরও অনেকটা অনুগত। এই তদন্ত কখনও আলোর মুখ দেখবেনা, আর তদন্ত হলেও সেটি সুষ্ঠু তদন্ত হবেনা বলেও আশংকা করেন তারা।
সমবায়ী (অভিযোগকারী) বাবর আলী বলেন, যেহেতু এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও তদন্ত হয়নি। আদৌ এই তদন্ত হবে কিনা কে জানে!
উলিপুর কেন্দ্রিয় সমবায় সমিতির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা বলেন, এ বিষয়ে দ্রুত তদন্ত হওয়া উচিৎ। এতদিনেও তদন্ত না হওয়া রহস্যজনক।
জানতে চাইলে বিআরডিবির উপ-পরিচালক নুর হোসেন মিয়া তদন্তের নির্দেশ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, বাবর আলীকে (অভিযোগকারি) চিঠি দিয়ে জানানো হবে। দ্রুত তাকে সাথে নিয়েই এ বিষয়ে তদন্ত করা হবে। মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২ সদস্যের তদন্ত কমিটি তৈরি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তদন্তটিম সরেজমিনে তদন্ত করেছেন। তবে এখনও প্রতিবেদন জমা দেয়নি।
//নিউজ/উলিপুর//মালেক/এপ্রিল/১৪/২২