।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
কোমরের ব্যথা বা ব্যাক পেইনের সমস্যায় বর্তমানে কমবেশি সবাই ভোগেন। বিশেষ করে কর্মজীবীদের মধ্যে যারা অফিসে অনেক সময়ই একটানা চেয়ারে বসে কাজ করতে করতে মেরুদণ্ডের হাড়ে ব্যথা হয়। বসে কাজ করার সময় মেরুদণ্ডের জোর ও পেশিগুলোর যে শক্তি প্রয়োজন হয়, তার অনেকটাই হারিয়ে ফেলি আমরা। পরিচর্যার অভাবে বয়স বাড়ার অনেক আগেই ব্যথাজনিত সমস্যায় ভুগতে থাকি।
এছাড়া ভারি কোনো কিছু তোলার কারণে এমনকি শোয়া বা বসার ভুলেও হতে পারে ব্যাক পেইন। এক্ষেত্রে পিঠে বা কোমরে প্রচণ্ড যন্ত্রণা ও ব্যথা হয়। অনেকে তো এই ব্যথার কারণে বসার পর উঠতেও পারেন না।
ব্যথাকে নিয়ন্ত্রণে রেখে অসুখ কমানোর আধুনিক চিকিৎসা ‘পেন ম্যানেজমেন্ট’। সেই বিভাগেরই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেবাঞ্জলি রায়ের মতে, ক্রনিক এই সমস্যার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম, ওষুধ এ পর্যাপ্ত ঘুম কার্যকরী। বেদনানাশক ওষুধ খেয়ে দিনের পর দিন ব্যথাকে নিয়ন্ত্রণ করে যাওয়া নিছক বোকামি।
তাই এ সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে। পাশাপাশি কোমর বা পিঠের ব্যথা সারাতে ঘরোয়া কয়েকটি উপায় অনুসরণ করতে পারেন। জেনে নিন করণীয়-
⇨ শরীরের গড়ন ও ধরন বুঝে জেনে নিন প্রয়োজনীয় ব্যায়াম। এ ছাড়া দৌড়নো, জগিং কিছু স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ ব্যথা সারাতে ও পেশির জোর বাড়াতে বিশেষ কাজে আসে।
⇨ ব্যথা হলে ও ঠাণ্ডা বা গরম সেঁক দিন। একবার হট ওয়াটার ব্যাগ ব্যথার জায়গায় ধরে থাকুন ১৫ সেকেন্ডের মতো। তার পর আবার সেখানে ১৫ সেকেন্ডের জন্য কোল্ড ব্যাগ সেঁক দিন। এভাবে মিনিট ১০-১৫ সেঁক দেয়ার ফলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে, পেশিকে শিথিল করবে। আর ব্যথা কমবে।
⇨ ক্রনিক ব্যথায় যারা ভোগেন, তারা প্রতিদিন প্রায় ৭-৮ ঘণ্টা নিয়ম করে ঘুমান। ঘুমানোর সময় শোবার ধরনও ঠিক রাখুন।
⇨ নারকেল তেলে কর্পুর মিশিয়ে গরম করে নিন। এরপর ঠান্ডা করে ওই তেল কোমরে ব্যবহার করুন কয়েকবার। দেখবেন ব্যথা মুহূর্তেই সেরে যাবে।
⇨ সরিষার তেলের মধ্যে রসুন কুচি মিশিয়ে গরম করে ব্যবহার করলেও শরীরের যে কোনো ব্যথা থেকেই দ্রুত নিস্তার মেলে।
⇨ ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি১২, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। হাড় ও পেশির জোর বাড়ায়।