।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে পূর্ব বিরোধের জেরে হাফিজিয়া মাদরাসার সীমানায় টিনের বেড়া ভাঙচুর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে সাবেক পৌর কাউন্সিলর কায়ছার আলী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। শুক্রবার (১৮ মার্চ) দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে উপজেলার কিশামত মালতিবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক বছর আগে উপজেলার ধরণীবাড়ী ইউনিয়নের কিশামত মালতিবাড়ী গ্রামে কায়ছার আলী তার স্ত্রী ছামছুন্নাহার বেগমের নামের ২১ শতক বসতভিটা ক্রয় করেন। ক্রয়কৃত বসতভিটায় কায়ছার আলী ফাতেমা (রাঃ) বালিকা নূরাণী ও হাফিজিয়া মাদরাসা চালু করেন। জমি ক্রয়ের পর থেকে প্রতিবেশি বাচ্চু মিয়া (৩৮) ও গোলাম রব্বানী(৪৫) গংদের সাথে বিরোধ শুরু হয়। এর আগে কায়ছার আলীর মাদরাসার পাশেই বাচ্চু মিয়াদেরও একটি হাফিজিয়া মাদরাসা ছিল, যাহা কয়ছার আলীর মাদরসা চালু হওয়ায় পূর্বের তাদের মাদরসার শিক্ষার্থী কমে যায়। ফলে এক পর্যায়ে বাচ্চু মিয়াদের মাদরাসাটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে তাদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েেেছ। ঘটনার দিন শুক্রবার দিবাগত রাতে মাদরাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয় এবং সীমানায় থাকা টিনের বেড়া ভাঙচুর করেন তারা। এসময় ৯৯৯ ফোন করে পুলিশের সহায়তা নেয়া হয়। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে কায়ছার আলী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বাচ্চু মিয়া ও তার ভাই গোলাম রব্বানী বলেন, কায়ছার আলী নিজেই ওসব টিনের বেড়া ভাঙচুর করেছেন। আমাদের জমির সীমানা তিনি ঘিরে রেখেছেন। তার বাড়ির টয়লেটের ময়লা আমাদের জমির গর্তে আসে। এ ব্যাপারে তাকে একাধিকবার বলা হলেও কোন উদ্যোগ নেননি।
ফাতেমা (রাঃ) বালিকা নূরাণী ও হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষক শমসের আলী বলেন, সেদিন (শুক্রবার দিবাগত রাত) শবে বরাত ছিল। মাদরাসার শিক্ষার্থীরা নামাজ ও কুরআন শরীফ পড়তেছিল। হঠাৎ করে তারা রাত প্রায় দুটার দিকে নানান গালিগালাজ সহ ইটপাটকেল দিয়ে ঢিল ছোড়েন এবং টিনের বেড়া ভাঙচুর করেন।
উলিপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবির বলেন, ওই মাদরাসার পাশে পূর্বে তাদের একটি মাদরাসা ছিল। সেটি বিলুপ্ত হওয়ায় কারণে স্বাভাবিক ভাবে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। মাদরাসার সাথে এমন ভাবে তারা একটি ক্যানেল তৈরি করেছে এখন মাদ্রাসার মাটি ভেঙে ভেঙে যাচ্ছে। একটা টিনের বেড়া ছিল সেটি ভেঙে ফেলেছে। এ বিষয়ে আমি প্রসিকিউশন দিবো।
//নিউজ/উলিপুর//মালেক/মার্চ/২১/২২