।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
চিলমারী উপজেলার তিস্তার তীরের রহিমা প্রায় ২০/২৫ বছর আগে হারান স্বামীকে। সন্তানদের নিয়ে পড়েছিল বিপাকে। চারদিক থেকে যেন অভাব আর কষ্ট তাড়া করছিল। ছিল অভাব, ছিল কষ্ট এর উপর হারিয়েছিল বাসস্থানটিও। অভাবের কারনে ছোট্ট বয়সে ছেলেদেরও দিন মজুরের কাজ বেছে নিতে হয়েছিল। আর রহিমা সারাদিন এবাড়ি ওবাড়ি কাজ করেই জীবন যাপন শুরু করেছিল। কিন্তু বয়সের ভার কাজ করতে না পারায় অবশেষে রহিমার হাতে উঠে ভিক্ষার ঝুলি। সারদিন ভিক্ষা করে ছেলেদের নিয়ে অতি কষ্টে একটি থাকার স্থান করলেও বসবাস ছিল ভাঙ্গা ঘরে। রোদে, শীতে কখনো বৃষ্টিতে কষ্ট করতে হতো পরিবারের সকলকে। বিষয়টি দৃষ্টিতে আসলে রহিমার অস্থায়ী ঠিকানায় ছুটে যান চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমান। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে
দেন তিনি, মুজিববর্ষের উপহার আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর ঘরের তালিকায় নাম উঠে রহিমার। ইতি মধ্যে রহিমার বাড়িতে ইট, সিমেন্টসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ পৌঁছে দিয়েছেন নির্বাহী অফিসার।
কথা হলে রহিমা বলেন, খুব কষ্টরে বাবা হামার, সারাদিন ভিক্ষা করি যা পাই তাই খাই, ছেলেরাও কষ্ট করে কিন্তু নিজের ছেলে মেয়েকেও ঠিক মতো চলাতে পারেনা। খাবার নিয়েই যত কষ্ট আর ভালো ঘর করার স্বপ্নেও ভাবেনি। আর এবারের সেই স্বপ্ন পুরন হইলো ইউএনও স্যারের অছিলায়। শেখের বেটি শেখ হাসিনার দেয়া পাকা ঘরে থাকমো এটা যে কি আনন্দের।
রহিমা বর্তমান চিলমারী উপজেলার রমনা ইউনিয়নের পাত্রখাতা বাঁধ এলাকায় বসবাস করছে। শুধু রহিমা নয় এরকম হাজারো আশ্রয়হীন মানুষের জন্য এগিয়ে এসেছেন সরকার। আশ্রয়হীন মানুষগুলো আজ পাকা ঘরে দেখছেন সুখের স্বপ্ন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সহযোগীতায় বেশকিছু পরিবার পেয়েছেন মাথা গোজার ঠাঁই বুনছেন সুখের স্বপ্ন।
প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, রহিমার মতো অনেক মানুষ আজ আশ্রয়হীন আর এই সব আশ্রয়হীন মানুষের জায়গাসহ পাকা ঘর করে দিচ্ছেন সরকার। আশ্রয়হীন মানুষ গুলো আজ পাচ্ছেন সুখের ঠিকানা।
//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/মার্চ/২১/২২