।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
শরীরে ব্যাথা হলে আমরা ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে থাকি। কালেভদ্রে ব্যথানাশক ওষুধ শরীরের তেমন ক্ষতি না করলেও দীর্ঘদিন সেবন করলে মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। ঘাড়, কোমর, হাঁটুসহ শারীরিক ব্যথাক্রান্ত বেশিরভাগ মানুষের ব্যথা কমানোর প্রধান অবলম্বন হয়ত ব্যথানাশক ওষুধ। কিন্তু আমরা কখনো কি ভেবে দেখেছি ব্যথার ওষুধ কতটা ক্ষতিকর!
অনেকে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ওষুধের দোকান থেকে কিনে ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে থাকেন। এটি মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। কারণ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধই খাওয়া ঠিক নয়।
ব্যথার ওষুধের বিকল্প উপায়গুলো তৈরি করছে মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা। পৃথিবী যত উন্নত হচ্ছে মানুষ তত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন চিকিৎসার দিকে ঝুঁকছে। সামান্য ব্যথা সারাতে কিডনি বা হৃদযন্ত্রকে আঘাত করতে কেউই চাইবেন না। তাই সারা বিশ্বে ব্যথার ওষুধবিহীন ব্যথার চিকিৎসা দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে কারণ নির্ণয় করে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন ব্যথার চিকিৎসা করা যায়। কিছু সাধারণ শারীরিক ও কিছু প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার মাধ্যমেই খুব সহজেই ব্যথার প্রকৃত কারণ নির্ণয় করা সম্ভব। আর সেই অনুযাই ব্যবস্থা নিলে বেশিরভাগ শারীরিক ব্যথার চিকিৎসা ব্যথানাশক ওষুধ ছাড়াই করা সম্ভব। যেমন ধরুন, আপনি ফ্রোজেন সোল্ডারে আক্রান্ত। মাসের পর মাস ব্যথানাশক সেবনেও আপনার কাঁধ ব্যথা ভালো নাও হতে পারে। অথচ ব্যথা শুরুর সাথে সাথে কিছু থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ বা ইলেক্ট্রোথেরাপির শুরু করলে খুব সহজেই এই রোগ নির্মূল করা যায়। এ ক্ষেত্রে রোগীকে খুব সচেতন হতে হবে। ব্যথা হলেই ব্যথার ওষুধ সেবন না করে ব্যথার কারণ নির্ণয় করুন, বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
ব্যথা হলে কী করবেন:
যারা বিভিন্ন রকম ব্যথা-বেদনা বা আর্থ্রাইটিস বা বাতরোগে ভুগছেন, যেমন- হাঁটু, ঘাড়, কোমর ও কাঁধে ব্যথায় আক্রান্ত, তারা ব্যথানাশক ওষুধের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিতে পারেন। আর ব্যথানাশক ওষুধ যদি খেতেই হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খান।