।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রাম সদরে প্রেম সংঘটিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ নিরসন করতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে বকুল মিয়া (৩৫) নামের এক যুবক খুনের ঘটনায় ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা দিলে রাত জুড়ে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছি ইউনিয়নের নওয়াবস আবাসন প্রকল্প গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে মোরশেদুল হক (৪২), মোরশেদুল হকের ছেলে জাহিদ হাসান (২০), মোরশেদুল হকের স্ত্রী আফরোজা বেগম (৩৭)। এছাড়াও জেলা সদরের সওদাগর পাড়া গ্রামের হানিফ মিয়ার ছেলে রওশন ইসলাম (২৫), আকিরুজ্জামানের ছেলে রাশিদুল ইসলাম (৪৪), মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে মনিরুল ইসলাম ওরফে ময়নুল (২৬), আকিরুজ্জামানের ছেলে রানা ইসলাম (২৬), মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে হানিফ আহমেদ (৫৩), মৃত মোজাম্মেল হকের স্ত্রী মদিনা বেগম (৬৫) ও হানিফ মিয়ার স্ত্রী রোজী বেগম (৪২)।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, পাঁচগাছী ইউনিয়নের ধরলা আবাসন প্রকল্পের গুচ্ছগ্রামে বসবাসকারী দুই পরিবারের ছেলে-মেয়ের প্রেম সংক্রান্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) রাত ৯টার দিকে ওই ইউনিয়নের ধরলা আবাসন প্রকল্প এলাকায় দুই পরিবারে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় বকুল (৪২) সেই সংঘর্ষ নিরসন করতে গেলে এক পক্ষের ছুরিকাঘাতে বকুল গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেয়ার পথে সে মারা যায়।
নিহত বকুল গুচ্ছগ্রাম সংলগ্ন উত্তর নওয়াবশ গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর সাত্তারের ছেলে। তিনি তিন কন্যা সন্তানের জনক বলে জানা গেছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদ হাসান জানান, এ ঘটনায় এজাহার নামীয় ১০ জনসহ আজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জনের মধ্যে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো.শাহরিয়ার জানান, বৃহস্পতিবার রাত জুড়ে অভিযান চালিয়ে মুল হত্যাকারীসহ ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকীদেরও আটকের চেষ্টা চলছে। এঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। নিহতের মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।