।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রামে মাইক্রোবাস ছিনতাই ও ড্রাইভারকে হত্যার দায়ে মাহাম্মদ হোসেন ওরফে পারভেজ (২৭) এবং তৌহিদুল ইসলাম (৩২) নামে দুই আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন কুড়িগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক। সেই সাথে তাদের প্রত্যেককে আরো ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ মার্চ) দুপুরে এ আদেশ প্রদান করেন কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ মো.আব্দুল মান্নান।
দন্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামী মাহাম্মদ হোসেন ওরফে পারভেজ রংপুর শহরের নিউ শালবন এলাকার মোস্তফা হোসেনের ছেলে এবং তৌহিদুল ইসলাম রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার শালটি গোপালপুর এলাকার মো. মোস্তফার ছেলে।
মামলার এজাহারে জানা যায়, জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার শশারিয়া খানপাড়া এলাকার বাদশা খানের ছেলে শহিদুর রহমান ঢাকার দক্ষিণ খান মধ্যপাড়া জামতলা এলাকার তৈয়বুর রহমানের একটি মাইক্রোবাস চালাতেন। গত ২০০৯ সালের ২৯ জুন মালিকের মাধ্যমে রংপুর যাওয়ার কথা বলে মাইক্রোবাস ভাড়া নেন আসামীরা। পরে চালক শহিদার রহমানকে হত্যা করে আসামীরা জেলার উলিপুর উপজেলার কাজলডাঙ্গা এলাকায় মরদেহ ফেলে চলে যান। এরপর ৩০ জুন রাতে কুড়িগ্রাম জেলা শহর হয়ে পালানোর সময় কলেজ মোড় এলাকায় ডিউটিরত পুলিশ সন্দেহভাজন রবিউল ইসলাম ও মাহাম্মদ হোসেন ওরফে পারভেজকে আটক করে। এসময় তৌহিদুল ইসলাম নামে অপর একজন পালিয়ে যান। এ অবস্থায় গাড়িতে থাকা শহিদুর রহমানের ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে পাওয়া ঠিকানায় খবর দিলে নিহত চালকের স্বজনরা এসে তার লাশ শনাক্ত করেন। এরপর ওই বছরের জুলাই মাসের ১তারিখ নিহতের ভাই ছাইদুর রহমান খান বাদী হয়ে ৩জনকে আসামী করে উলিপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
এরপরে দীর্ঘ শুনানি শেষে মঙ্গলবার দুপুরে মাহাম্মদ হোসেন ওরফে পারভেজ এবং তৌহিদুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেন কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক। এছাড়াও আসামী রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। আসামী মাহাম্মদ হোসেন ওরফে পারভেজ রংপুর শহরের নিউ শালবন এলাকার মোস্তফা হোসেনের ছেলে এবং তৌহিদুল ইসলাম রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার শালটি গোপালপুর এলাকার মো. মোস্তফার ছেলে বলে জানা গেছে।