।। নিউজ ডেস্ক ।।
আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবস। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিবছর পালিত হয়ে আসছে সুন্দরবন দিবস। এবার পালিত হচ্ছে ২১তম সুন্দরবন দিবস।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের আওতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রূপান্তর ও পরশ-এর উদ্যোগে এবং দেশের আরও ৭০টি পরিবেশবাদী সংগঠনের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় সুন্দরবন সম্মেলনে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ‘সুন্দরবন দিবস’ ঘোষণা করে প্রতিবছর পালন করা হয়।
সমুদ্র উপকূলবর্তী নোনা পরিবেশের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন হিসেবে সুন্দরবন বিশ্বের দরবারে পরিচিত। সুন্দরবন রয়েছে ৫ হাজার প্রজাতির উদ্ভিদ, ১৯৮ প্রজাতির উভচর প্রাণী, ১২৪ প্রজাতির সরীসৃপ, ৫৭৯ প্রজাতির পাখি, ১২৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী ও ৩০ প্রজাতির চিংড়ি মাছ রয়েছে।
জানা গেছে, প্রতিটি ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতবিক্ষত হয়ে মায়ের মতো উপকূলের কোটি-কোটি মানুষকে নিরাপদে রাখলেও সুন্দরবন এখন নিজেই ভালো নেই। জলবায়ুর পরিবর্তনে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি, পরিবেশ দূষণ, ম্যানগ্রোভ এই বনের জীববৈচিত্র্য ধ্বংসকারী চোরা শিকারি ও কাঠ পাচারকারীদের কারণে এর অস্তিত্ব এখন সংকটে।
এত সংকটের মধ্যেও আশার কথা জানিয়ে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট প্যাট্রোলিংসহ সুন্দরবনের প্রাণপ্রকৃতি সুরক্ষার চেষ্টা চালাতে হবে। পাশাপাশি ১৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সুন্দরবন সুরক্ষা প্রকল্পের কাজ শুরু হলে দ্রুতই সব বন্যপ্রাণীর জরিপ শুরু হবে। আগামী জুন মাসের মধ্যে ৮৪টি পুকুর খনন ও পুনঃখননের মাধ্যমে বন্যপ্রাণীর সুপেয় পানির চাহিদা মেটাবে। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করা হবে। এত করে সুন্দরবন অনেক সুরক্ষিত হবে।’
সুন্দরবনের প্রতি মমত্ববোধের জায়গা থেকে সুন্দরবন দিবস পালন করা হচ্ছে। এ দিবসটি সরকারিভাবে পালনের জন্য বিভিন্ন সময়ে সরকারের নীতি নির্ধারণী মহল ও প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন পর্যায়ে দাবী জানিয়ে আসছে সুন্দরবন একাডেমিসহ পরিবেশ আন্দোলনের সংগঠনগুলো।