।। নিউজ ডেস্ক ।।
ব্যক্তি মালিকানায় থাকা গাছ কাটতেও অনুমতির বিধান রেখে বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন করপোরেশন আইন ২০২১’- এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। খসড়া আইন অনুযায়ী, ব্যক্তি মালিকানায় লাগানো বড় গাছ কাটতেও সরকারের অনুমতি নিতে হবে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন এই আইন করার প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন সরকার প্রধান।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, এটার মাধ্যমে সব বনাঞ্চলকে প্রটেকশন দেওয়া হয়েছে। সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে লাগানো যে গাছ রয়েছে সেগুলোও এর আওতায় আসবে। এখানে বুঝতে হবে, স্থায়ী গাছের কথা বলা হয়েছে। লাউ গাছ কাটতে কোনো সমস্যা নেই। এ আইনের মাধ্যমে সব বনাঞ্চলকে প্রটেকশন দেওয়া হয়েছে। এখানে স্থায়ী গাছের কথা বলা হয়েছে। লাউ গাছ কাটতে কোনো সমস্যা নেই। তবে এটাকে সহজ করে কর্তৃপক্ষকে অনুমতি দিতে বলা হয়েছে। কারণ, একটা মানুষ বিপদে পড়ল, তার গাছ ভেঙে গেল; এটা যদি সাত দিন পড়ে থাকে, অনুমতি নিতে যদি সময় লাগে তাহলে তো মুশকিল। তাই এটাকে সহজ করতে বলা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দিয়ে যদি যান দুই পাড়ে আমরা যে বন করেছি, এটা সম্ভবত বাংলাদেশের সবচেয়ে গভীর অরণ্য। এত গভীর বন সুন্দরবনেও নেই বলে আমার ধারণা। ওখানে আমরা গোখরা সাপ, অজগর সাপ, বানর, হরিণ আরও অনেক রকম পোকামাকড় ছেড়ে দিয়েছি। এটাকেও এর আওতায় আনা হয়েছে। যদিও এটা বন না কিন্তু তবুও এটাকে নিধন করা যাবে না। এগুলোকে সংরক্ষণ করতে হবে।
সংরক্ষিত বনের পাশাপাশি অন্যান্য বনাঞ্চলকেও এই আইনে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, অন্যান্য বনজ শিল্প যেমন—আগর, সেগুলোকেও সংরক্ষণের বিশেষ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর যদি যান, দুপাড়ে আমরা যে বন করেছি এটা বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্ভবত গভীর অরণ্য। এতো গভীর বন সুন্দরবনেও আমার ধারণা নেই। ওখানে কিন্তু বিশাল এলাকায় আমাদের ফরেস্ট। এখানে আমরা গোখরা সাপ, অজগর, বানর, হরিণ আরও অনেক রকম পোকা-মাকড় ছেড়ে দিয়েছি। এটাকেও এর আওতায় আনা হয়েছে। যদিও এটা বন না কিন্তু তবুও এটাকে নিধন করা যাবে না। এগুলোকে সংরক্ষণ করতে হবে।
তিনি বলেন, এটা ব্যাপক প্রচারণা করতে বলা হয়েছে। কেবিনেট থেকে বলা হয়েছে পরিবেশ মন্ত্রণালয় এই আইনগুলোর কমপালশনগুলো বাস্তবায়নের আগে প্রমোশন ক্যাম্পেইন করে মানুষের দৃষ্টিতে আনতে হবে।
ব্যক্তিগত গাছ না কাটার বিষয়ে আইনের ব্যাপক প্রচারণা করতে বলা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, কেবিনেট থেকে বলা হয়েছে পরিবেশ মন্ত্রণালয় আইন বাস্তবায়নের আগে প্রমোশন ক্যাম্পেইন করে মানুষের দৃষ্টিতে আনতে হবে।