।। টেক ডেস্ক ।।
মোবাইল ফোন ব্যবহার বৃদ্ধির সঙ্গে যে বস্তুর নাম জড়িয়ে আছে তা হলো মোবাইল সিম। কারণ সিম ছাড়া মোবাইল ফোন ব্যবহার করা একদম অসম্ভব। কিন্তু সেই সিম যদি টানা ১৫ মাস বন্ধ থাকে, তাহলে সেটি আগামী এক মাসের মধ্যে চালু করে নিন। কারণ, যে সিমটি এত দিন ব্যবহার না করে ফেলে রেখেছেন, সেটি আগামী এক মাসের মধ্যে চালু না করলে এর মালিকানা আর আপনার কাছে থাকবে না।
সিমের মালিকানা বাংলাদেশে এই নেটওয়ার্ক কোম্পানিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু ব্র্যান্ড হলো গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি, টেলিটক ইত্যাদি। এসব বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিম কেনার পর তা মোবাইলের নির্দিষ্ট স্লটে সেট করার পর আপনার মোবাইল অন্যপ্রান্তের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য উপযুক্ত হয়।
জাতীয় নম্বর পরিকল্পনা অনুযায়ী বাংলাদেশে মুঠোফোন নম্বর শুরু হয় ০১ দিয়ে। এর সঙ্গে আরও ৯টি অঙ্ক যোগ করে ১১ অঙ্কবিশিষ্ট একটি মুঠোফোন নম্বর তৈরি হয়। প্রতি অপারেটর তাদের জন্য বরাদ্দ নম্বর কোড দিয়ে ১১ অঙ্কের ১০ কোটি নম্বর তৈরি করতে পারে। এর মধ্যে টেলিটক ০১৫, গ্রামীণফোন ০১৭, রবি ০১৮ ও ০১৬ এবং বাংলালিংক ০১৯ নম্বর সিরিজ ব্যবহার করে। আপনার ব্যবহৃত বা অব্যবহৃত সিম যদি টানা ১৫ মাস বন্ধ থাকে তবে সেই সিমটিকে একটি পরিত্যক্ত সিম হিসেবে ধরা হবে। এই অবস্থায় আপনি আপনার সিম কার্ডের মালিকানা হারাতে পারেন।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, নতুন নিয়ম অনুযায়ী টানা ১৫ মাস বা ৪৫০ দিন একটি সিম ব্যবহার না করা হলে সেটির মালিকানা ধরে রাখতে বাড়তি ৩০ দিন সময় পাবেন গ্রাহক। অর্থাৎ ৪৮০ দিনের মধ্যে বন্ধ থাকা সিমটি চালু না করা হলে সেটির মালিকানা আর গ্রাহকের থাকবে না। এ সময়ের মধ্যে সিম সচল না করা হলে সংশ্লিষ্ট মুঠোফোন অপারেটর সেটি নতুন করে আবার বিক্রি করতে পারবে।