।। টেক ডেস্ক ।।
বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে স্মার্টফোন প্রতিদিনের সঙ্গী। কথা বলা ছাড়াও খুদে বার্তা পাঠানো, ছবি তোলা, ইন্টারনেটের ব্যবহার এসব কাজে এখন মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে অনেকে এ ফোন নিয়ে এতটা সময় কাটায় যে তা আসক্তির পর্যায়ে চলে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ আসক্তির কারণে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। যেমন অনবরত মেসেজ পড়া, ই-মেইল দেখা এবং মোবাইলের ছোট স্ক্রিনে ব্রাউজ করলে চোখের পেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে দৃষ্টিতে সমস্যা দেখা দেয়।
সারাক্ষণ ফোন সঙ্গে রাখার কারণে ফোনের থেকে বেরিয়ে আসা রেডিয়েশন প্রবেশ করছে আমাদের শরীরে। সে কারণে নানা রকম অসুখে আক্রান্ত হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। জেনে নিন ফোন কোথায় রাখলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এবং এ থেকে বাঁচার উপায়।
১। আমরা অনেক সময়ই মোবাইল ফোনের ডিসপ্লেটি খুব কাছে থেকে দেখে থাকি। এর ফলে আমাদের চোখের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। পাশাপাশি টানা দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারের ফলেও সেই সমস্যা হয়। বিশেজ্ঞদের মতে, কমপক্ষে ১৬ ইঞ্চি দূর থেকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করুন এবং প্রতি ২০ মিনিট পর পর ডিসপ্লেতে টানা তাকিয়ে থাকা থেকে বিরতি নিন।
২। আমরা অনেক সময় প্রয়োজন ছাড়াও মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকি। অপ্রয়োজনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা বদ অভ্যাস বলা চলে। তাই যতদূর সম্ভব মোবাইল ফোনটি আপনার হাতের নাগাল থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন।
৩। রাতের বেলায় মোবাইল ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। আমরা অনেকেই রাতের বেলায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যস্ত থাকি যার ফলে আমাদের ঘুমানোর সময়গুলো এই করেই পার হয়ে যায়। যা আমাদের পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব পূরণ হতে দেয় না। তাই নানান ধরনের শারীরিক সমস্যা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখতে পাওয়া যায়।
৪। আপনার ফোনটি যখন চার্জ দিবেন তখন ফোনটি যথা সম্ভব অফ করে নিতে পারেন। এতে করে ফোনটি ভালো থাকবে। এ ছাড়াও ফোনের ব্যাটারি যখন লো, তখন ফোন দিয়ে কথা বলা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন। ভুলেও কখনো চার্জে দিয়ে ফোনে কথা বলা কিংবা অন্য কাজ খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া করবেন না।
৫। অনেকেই ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোন বন্ধ না করে অ্যালার্ম দিয়ে ফোনকে বালিশের নিচে বা পাশে রেখে দেয়। অনেকেই আবার ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোনটি সঙ্গী করে ঘুমান। যারা মাথার কাছে মোবাইল ফোন চার্জে লাগিয়ে ঘুমায়, তাদের শারীরিক ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি। তাই গবেষকদের পরামর্শ, রাতে ঘুমানোর সময় চেষ্টা করুন মাথা থেকে দূরে রেখে ঘুমানোর। আর চেষ্টা করুন রুমের একটি জানালা খোলা রাখতে।