।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
আবারও শুরু হয়েছে করোনা সংক্রমণ। বিশ্বে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় যেসব করোনা আক্রান্তরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তাদের অধিকাংশেরই দেখা যায় শ্বাসকষ্ট। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় তৈরি হয়েছিল জটিল পরিস্থিতি। তাই তৃতীয় ঢেউয়ের শুরুতেই সবাইকে খাদ্যতালিকায় অক্সিজেন সমৃদ্ধ খাবার রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
করোনায় আক্রান্ত হলে অনেকেরই অক্সিজেন লেভেল যখন কমতে শুরু করে, এর চেয়ে অসহায় অবস্থা আর কিছুই থাকে না। কারণ করোনাভাইরাস আমাদের ফুসফুসকে সংক্রমিত করে। অনেক সময় সব ধরনের চিকিৎসাও হার মানে অক্সিজেন ধরে রাখতে, আর যার পরিণাম হতে পারে মৃত্যুও। অ্যালকালাইন জাতীয় খাবার ৮০ শতাংশ খাদ্যতালিকায় রাখলে তা রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা যথাযথ রাখতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এই ধরনের খাবার শরীরকে সক্রিয় রাখার পক্ষেও সহায়ক। এ ছাড়া এই খাবারগুলো দেহের পিএইচ মাত্রা স্বাভাবিক রাখে এবং ভিটামিন ও মিনারেলসের শোষণে সহায়তা করে। অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে খাবারের তালিকায় অ্যালকালাইন জাতীয় খাবার রাখুন।
পুষ্টিবিদদের মতে, অ্যালকালাইন জাতীয় খাবার খাদ্যতালিকায় রাখলে তা রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা যথাযথ রাখতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এই ধরনের খাবার শরীরকে সক্রিয় রাখার জন্যও উপকারী। এছাড়া এই খাবারগুলো দেহের পিএইচ মাত্রা স্বাভাবিক রাখে। সঙ্গে শরীরে ভিটামিন ও খনিজের জোগান ঠিক রাখে। করোনাকালে যেসব খাবার অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করে-
বেরিঃ ভিটামিন সি আর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর বেরি। এই ফলে মিষ্টভাবের পাশাপাশি প্রচুর ফাইবারও থাকে। ইউরিনারি ট্র্যাক্ট সংক্রমণ কমাতে ক্র্যানবেরির বহুল ব্যবহার প্রচলিত। ভিটামিন সি-এর অন্যতম উপাদান, যা মানবদেহের প্রতিটি কোষকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।
কিউইঃ এই ফলে প্রাকৃতিক চিনি থাকে, যার কারণে খাদ্য হজম হওয়ার পরে অ্যাসিডিক যৌগ তৈরি করে না। এতে আয়রন, কপার, ভিটামিন সি, বি ৩, বি ৫ এবং বি৬ রয়েছে। অ্যালকালাইন জাতীয় এই ফল শরীরকে তাজা রাখে। রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়ায়।
সাইট্রিক ফলঃ অক্সিজেন সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে লেবু অন্যতম। সাধারণত এটা অ্যাসিডযুক্ত, তবে খাওয়ার পর, শরীর ক্ষারীয়তে পরিবর্তিত হয়। লেবু কাশি, সর্দি, ফ্লু এবং ভাইরাসজনিত রোগের জন্য এই খুব উপকারী। লেবুকে লিভারের জন্য সেরা টনিক বলে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।
তরমুজঃ মিষ্টি এই ফলটি রক্তে অক্সিজেনের অভাব পূরণ করতে সাহায্য করে। এই ফলটি ৯ পিএইচ মান-সহ সর্বাধিক ক্ষারক হয়। তরমুজে থাকা ফাইবার এবং পানির কারণে এটি রোগ প্রতিরোধক হিসেবেও কাজ করে।
আনারসঃ আনারসের পিএইচ মান ৮.৫। এছাড়াও আনারস ভিটামিন এ, বি এবং সি-এর সঙ্গে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ। রক্ত সরবরাহ বৃদ্ধির সঙ্গে রক্তচাপ হ্রাস করতেও সাহায্য করে আনারস।
রসুনঃ সকালে উঠে খালিপেটে এক কোয়া কাঁচা রসুন রক্তচাপ কমাতে ও শরীরের ব্যথা সহ অন্যান্য অনেক সমস্যায় ম্যাজিকের মতো কাজ করে। আর এই করোনা পরিস্থিতিতে নিরাপদে থাকতে, রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে এবং শরীরে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের যোগান রাখতে নিয়ম করে কাঁচা রসুন খান।
বিটঃ শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়াতে বিটের বিকল্প নেই। বিটে থাকা নাইট্রেট শরীরে গিয়ে রূপান্তরিত হয় নাইট্রিক অক্সাইডে। এই নাইট্রিক অক্সাইড হিমোগ্লোবিন বাড়ায়। ফলে শরীরে অক্সিজেন বৃদ্ধি পায়। রক্তের ঘনত্ব ঠিক রেখে হৃৎপিণ্ডের ওপর চাপ কমায়।